Showing posts with label পরামর্শ. Show all posts
Showing posts with label পরামর্শ. Show all posts

Friday, February 7, 2020

সুন্দর ব্যক্তিত্বের জন্য করণীয় ১০টি মূল্যবান উপায়

সবাই চায় যে আমি একজন ভালো মানুষ হবো , সবাই আমাকে মান্য করবে , আমি সমাজের বুকে একজন নজরকাড়া শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হব । কিন্তু এটা অনেকেই ভাবে না যে কিভাবে এটা হওয়া সম্ভব ?
তুমি যে রকম রূপচর্চা করে সুন্দর হতে সচেষ্ট, ঠিক একই ভাবে যদি নিজের ব্যক্তিত্বকে ঘষা মাজা করো তাহলে নিজেদের ব্যক্তিত্বকে উজ্বল করতে পারো । মানুষ কখনো তার নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না অথবা বাবা-মায়ের যে ব্যক্তিত্ব — তা থেকে সরাসরি ব্যক্তিত্বের অধিকারি হয় না , — ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে হয় । তাহলে একথা পরিস্কার যে ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলা কিংবা আপডেট করা সম্ভব।এসব জেনে নিই সুন্দর ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার  ১০ টি কার্যকরী উপায় :- 

(১) মানুষকে কথা দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করো :- 
কাউকে কথা বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটা রাখার চেষ্টা করো । তুমি একজনকে কথা দিলে বা ভরসা দিলে যে , তোমায় কাজটা আমি করে দেব বা তোমার কাজে সাহায্য করবো কিন্তু তুমি যদি তার কথা না রাখতে পারো , তাহলে তোমার প্রতি যে সেই লোকটার বিশ্বাস ছিলো সেটা হারিয়ে যাবে । আর যদি তুমি তোমার কথাকে রাখতে পারো এবং তাকে সাহায্য করো তাহলে দেখবে যে তুমি তার চোখে আরো বেশি বিশ্বাসী একজন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে গেছো । ব্যাস এতটুকু ; অনেক বড় কিছু না এটুকু করতে পারলেই তুমি সবার থেকে আলাদা হবে ।
10 ways to inprove your personality - preronajibon
(২) সময়ের মূল্য দিতে শেখো :-
সময়ের মূল্য দিতে শেখো । সময় , বহতা নদীর স্রোত আর যৌবন কখনো ফিরে আসে না ‘একবার গ্যয়া তো গ্যয়া ‘ । কাউকে তুমি সময় দিলে যে কাল সকাল দশটায় আমার সাথে দেখা করবে অথবা দশটায় একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এ উপস্থিত থাকবে, কিন্তু সেখানে সময়মত পৌঁছতে পারলে না বা ইচ্ছাকৃত ভাবে পৌঁছালে না , তাহলে মানুষ তোমার উপর আস্তে আস্তে ভরসা করা ছেড়ে দেবে । আর তুমি যদি সময়ের সঠিক মুল্য দিতে পারো তাহলে সবাই তোমাকে সঠিক মূল্য দেবে। তুমি অবশ্যই সবার চোখে আলাদা হবে ।
(৩) মানুষের কথা শোনো ও পাশে দাঁড়াও , সাহায্য করো :-
সবাই শুধু বলতে চায় , শুনতে কেউ-ই চায় না । তুমি একটু উল্টো হও আগে সামনের ব্যক্তির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো , বোঝো , তারপর সুযোগ বুঝে সময় মতো তোমার কিছু বলার থাকলে কিছু বলো , দেখবে তুমি নিজের অজান্তেই কখন তার প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছো ।
মানুষ বিপদে পড়লে মানুষের পাশে দাঁড়াও , তাদের যতটা পারো সাহায্য করো , দেখবে সেও উপকৃত হবে আর তোমারো ভালো লাগবে । সেইসঙ্গে তোমার ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘটবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ।
(৪) নিজের রাগ অর্থাৎ ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখো:-
আমরা রাগের মাথায় এমন কতগুলো কাজ করে ফেলি , এবং পরে ভাবি যে , সেগুলো আমার একান্তই করা উচিত হয়নি , যা আমাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের একদম অনুকূল নয় । কথায় আছে যে ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না ‘ । জানি মানুষের জীবনে এমন কতগুলো ঘটনা আসে যেখানে নিজেকে কন্ট্রোল করা মুশকিল , কিন্তু একেবারে যে অসম্ভব সেটা কিন্তু নয় । যে যত নিজের ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সে ততই অগ্রগতির দিকে যাবে ও সুব্যক্তিত্বের অধিকারী হবে ।
(৫) ছোট বড় সবাইকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া :-
ছোটোদের ভালোবাসতে শেখো ও বড়দের শ্রদ্ধা করতে শেখো, কেননা ভালোবাসার বদলে ভালোবাসা , শ্রদ্ধার বদলে শ্রদ্ধা পাওয়া যায় । তুমি যদি সবাইকে ভালোবাসো শ্রদ্ধা ভরা দৃষ্টিতে দেখো তাহলে সমাজ তোমাকে শ্রদ্ধা ভরা দৃষ্টিতেই দেখবে । আর এটা সুন্দর ব্যক্তিত্বের একটা লক্ষণ।
(৬) অলসতা বর্জন করো পরিশ্রমী হও :-
অলসতা মানুষকে পিছনের দিকে টানে , মহাপুরুষ বলেছেন ‘ আরাম হারাম হ্যায় ‘ । জীবনের সফলতা অর্জন করতে হলে তোমাকে অবশ্যই অলসতা কে বর্জন করে পরিশ্রমী হতে হবে ।
(৭) অন্যের প্রশংসা করতে শেখো :-
আমরা সবসময় মানুষের দোষ খুঁজে বেড়াই , সুযোগ পেলেই অভিযোগ আর সমালোচনা করতে ছাড়ি না । কিন্তু মনের রাখবে অভিযোগ বা সমালোচনা করে নিজেকে মহান ও সামনের ব্যক্তির পথপ্রদর্শক মনে হবে , কিন্তু সামনের ব্যক্তি তোমাকে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে তোমার প্রতি এক বিরূপ ধারণা তৈরি করবে । তোমাকে অপছন্দ করতে শুরু করবে । কিন্তু যদি তুমি তার প্রশংসা করো, তার সামনে কখন তুমি তার প্রিয় ব্যক্তি ও তার অভিভাবক হয়ে গেছো তুমি নিজেই টের পাবে না । তাই প্রাণ খুলে অন্যের প্রশংসা করো ।
(৮) সত্যি কথা বলো :-
যদি তুমি একজন আদর্শবান সুব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই সত্যবাদী হতে হবে । তুমি যদি ভুলে কোনো অন্যায় কাজও করে থাকো তাহলে তোমাকে মিথ্যের আশ্রয় না নিয়ে সত্যি বলতে হবে । মনে করো তুমি তোমার বন্ধুর কাছে কিছু লুকোচ্ছ , মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছ কিন্তু সেটা না করে যদি তুমি তাকে সাহস করে সত্যিটা বলতে পারো তাহলে দেখবে তোমার নিজেকে অনেকটাই হালকা লাগবে , আর বন্ধুও তোমাকে ক্ষমা করে দেবে । সাথে সাথে তোমার প্রতি তোমার বন্ধুর বিশ্বাস কমার চেয়ে আরো দ্বিগুন হবে ।
(৯) পোশাকের শালীনতা বজায় রাখো :-
সবার মাঝখানে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে নেই । কেননা সামনে খুব অপটুডেট পোশাকে নিজেকে সবার নজরে ভালই স্মার্ট মনে হলেও , মনে রাখবে পোশাক তোমার ব্যক্তিত্বকেই ফুটিয়ে তুলবে । তাই কয়েকটি কথা মনে রেখো :
(ক) পোশাক হবে স্থান কাল পাত্র মাথায় রেখে ।
(খ) পোশাক হবে মার্জিত রুচির , যাতে শালীনতা বজায় থাকে ।
(গ) গায়ে মানায় বা ভালো ফিট হয় এমন পোশাক পরো।
(ঘ) পোশাক যেন কখনোই তোমাকে ছাড়িয়ে বড় না হয়ে যায় । কেননা পোশাকের কাজ তোমাকেই ফুটিয়ে তোলা, তা যেন তোমার চেহেরাকে ম্লান না করে দেয় ।
(ঙ) পোশাকে অতিরিক্ত স্মার্টনেস দেখাতে যেও না ।

(১০) সুন্দর কথা বলো :-
কথাই মানুষের ব্যবহারকে প্রকাশ করে । তাই যে কোনো স্থানে অনেক মানুষের বা ভিড়ের মাঝে তোমার কথা বলার স্টাইল , শব্দ চয়ন , eye contact ইত্যাদির উপর তোমার ব্যক্তিত্ব নির্ভর করবে । এই ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন । সেগুলি যেমন :
(ক) সামনের জনের সঙ্গে eye contact করে কথা বলো । এতে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।

(খ) আঞ্চলিক উচ্চারণ ত্যাগ করো , কারণ এতে সবার কাছে গ্রহণ যোগ্যতা বাড়বে।

(গ) সহজ ও সুন্দর শব্দ চয়ন করো । এতে সামনের মানুষের মনোযোগ আকৃষ্ট হবে ।

(ঘ) কথা বলার সময় হাসিখুশি ভাব বজায় রাখো।

(ঙ) ঘনিষ্ঠ কাউকে ছাড়া নিজের সমস্যার কথা অপরকে বলতে যেও না ।

(চ) কথায় রসবোধ থাকে যেন , সেই সঙ্গে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রেখো । কারণ নিজের ভাষাকে শ্রদ্ধা না করতে পারলে , অপরের ভাষা বা সংষ্কৃতিকেও শ্রদ্ধা করতে পারবে না ।
এইভাবে এই কয়েকটি করণীয় বিষয় যদি অভ্যাস করতে পারো — তবে তুমিই হয়ে উঠতে পারো সুন্দর ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারি। ভালো থেকো বন্ধুরা । আরো কিছু জানতে হলে কমেন্ট বক্স এ লিখে ফেলো চট করে ।

সূত্র: অনলাইন থেকে নেওয়া....

Thursday, December 5, 2019

কম সময়ের মাঝে বেশি কাজ করার জন্য ৫ পরামর্শ

একেক মানুষের কাজ করার ধরন একেক রকমের। কেউ ধীরে ধীরে কাজ করেন, আবার কারও সবকিছুতেই তাড়াহুড়ো। কিন্তু সবাই চায় ভালো মানের কাজ করতে। কাজ ঠিকঠাক না করলে কি আর অফিসে টিকে থাকা যাবে? সে ক্ষেত্রে কম সময়ে বেশি কাজ করার ইচ্ছা সবারই থাকে। কিছু কৌশল অবলম্বন করলে কম সময় ব্যয় করেই বেশি পরিমাণ কাজ করা যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু কৌশল:
১. বসের চাওয়া কী, জেনে নিন বিস্তারিত
কোনো কাজ যখন আপনাকে দেওয়া হবে, তখন সেটি কেমন হতে হবে, তার বিস্তারিত জেনে নিন শুরুতেই। হয়তো অফিস আপনার কাছে পাওয়ার পয়েন্টে একটি উপস্থাপনা চাইতে পারে, আবার না-ও চাইতে পারে। কখনো হয়তো সর্বোৎকৃষ্ট মানের কাজ প্রয়োজন হয়, আবার কখনো শুধু চলনসই হলেই চলে। হয়তো আপনি ভাবছেন, দিতে হবে ওই নির্দিষ্ট কাজের বিষয়ে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা। কিন্তু আদতে হয়তো প্রারম্ভিক একটি খসড়া হলেই বসের চলে। এসব বিষয় মাথায় রেখে তাই শুরুতেই জেনে নিন কাজটা কেমন হতে হবে। তাহলে শুরু থেকেই নিজের মতো করে ভাবতে পারবেন আপনি। ফলে অযথা অপ্রয়োজনীয় কাজ করে সময় নষ্ট হবে না এবং কম সময়েই সমাধা হবে নির্ধারিত কাজ।
২. ব্যবহার করবেন আগের কিছু
সময় বাঁচানোর সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে আগের কাজের অব্যবহৃত অংশ ব্যবহার করা। অনেক সময়ই দেখা যায়, আগের কাজের সূত্র ধরেই হয়তো নতুন কোনো প্রকল্প হাতে নিতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আগের কাজের কিছু অংশ পুনরায় ব্যবহার করা যায়। তবে অবশ্যই তা মৌলিক পন্থায় ব্যবহার করতে হবে। যেমন: আগের ই-মেইল, প্রেজেন্টেশন, প্রশিক্ষণ, প্রস্তাব প্রভৃতির অনেক অংশ পরবর্তী সময়েও প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করে ব্যবহার করা যায়।
৩. তালিকায় থাক সবকিছু
কাজের শুরুতেই একটি রুটিন করে নেওয়া যেতে পারে। যে কাজটি আপনাকে করতে দেওয়া হয়েছে, তা সমাধা করতে যা যা করা দরকার, সেগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে নিন। তাহলে ধাপে ধাপে কাজ করা সহজ হবে। আবার পুরো কাজের চাপও একসঙ্গে পড়বে না। বস জিজ্ঞেস করলে চটজলদি বলেও দিতে পারবেন কাজের অগ্রগতির খবর।
৪. সময় বেঁধে কাজ করুন
কম সময়ে বেশি কাজ করতে হলে অবশ্যই সময় বেঁধে কাজ করতে হবে। পুরো কাজের কোন অংশের জন্য কতটুকু সময় বরাদ্দ রাখবেন, তা ঠিক করে নিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে, ওই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই যেন কাজটি শেষ হয়। তবেই দেখা যাবে, পুরো কাজের পেছনে ব্যয় করা সামগ্রিক সময় কমে আসবে।
৫. চাই অখণ্ড মনোযোগ
কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শত্রু হলো অমনোযোগিতা। যদি কোনো কাজ করার সময় মনোযোগ না থাকে, তবে স্বাভাবিকভাবেই তা শেষ হতে সময় বেশি লাগে। আর প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে তো মনোযোগ ধরে রাখাই কঠিন। এই ফেসবুকে কেউ পোক করল, তো আরেকজন টুইটারে করল কমেন্ট। তাই জরুরি কাজ করার সময় কিছুক্ষণের জন্য হলেও স্মার্টফোনটিকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন। যখনই মনোযোগ দিয়ে কোনো কাজ করবেন, তখনই তা দ্রুত শেষ হবে। সুতরাং মনোযোগ ধরে রাখার কোনো বিকল্প নেই।
তথ্যসূত্র: হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ ও অন্ট্রোপ্রেনার ডটকম