সবাই চায় যে আমি একজন ভালো মানুষ হবো , সবাই আমাকে মান্য করবে , আমি
সমাজের বুকে একজন নজরকাড়া শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হব । কিন্তু এটা অনেকেই ভাবে না
যে কিভাবে এটা হওয়া সম্ভব ?
তুমি যে রকম রূপচর্চা করে সুন্দর হতে সচেষ্ট, ঠিক একই ভাবে যদি নিজের ব্যক্তিত্বকে ঘষা মাজা করো তাহলে নিজেদের ব্যক্তিত্বকে উজ্বল করতে পারো । মানুষ কখনো তার নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না অথবা বাবা-মায়ের যে ব্যক্তিত্ব — তা থেকে সরাসরি ব্যক্তিত্বের অধিকারি হয় না , — ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে হয় । তাহলে একথা পরিস্কার যে ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলা কিংবা আপডেট করা সম্ভব।এসব জেনে নিই সুন্দর ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার ১০ টি কার্যকরী উপায় :-
মানুষ বিপদে পড়লে মানুষের পাশে দাঁড়াও , তাদের যতটা পারো সাহায্য করো , দেখবে সেও উপকৃত হবে আর তোমারো ভালো লাগবে । সেইসঙ্গে তোমার ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘটবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ।
(৭) অন্যের প্রশংসা করতে শেখো :-
আমরা সবসময় মানুষের দোষ খুঁজে বেড়াই , সুযোগ পেলেই অভিযোগ আর সমালোচনা করতে ছাড়ি না । কিন্তু মনের রাখবে অভিযোগ বা সমালোচনা করে নিজেকে মহান ও সামনের ব্যক্তির পথপ্রদর্শক মনে হবে , কিন্তু সামনের ব্যক্তি তোমাকে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে তোমার প্রতি এক বিরূপ ধারণা তৈরি করবে । তোমাকে অপছন্দ করতে শুরু করবে । কিন্তু যদি তুমি তার প্রশংসা করো, তার সামনে কখন তুমি তার প্রিয় ব্যক্তি ও তার অভিভাবক হয়ে গেছো তুমি নিজেই টের পাবে না । তাই প্রাণ খুলে অন্যের প্রশংসা করো ।
(ক) পোশাক হবে স্থান কাল পাত্র মাথায় রেখে ।
(খ) পোশাক হবে মার্জিত রুচির , যাতে শালীনতা বজায় থাকে ।
(গ) গায়ে মানায় বা ভালো ফিট হয় এমন পোশাক পরো।
(ঘ) পোশাক যেন কখনোই তোমাকে ছাড়িয়ে বড় না হয়ে যায় । কেননা পোশাকের কাজ তোমাকেই ফুটিয়ে তোলা, তা যেন তোমার চেহেরাকে ম্লান না করে দেয় ।
(ঙ) পোশাকে অতিরিক্ত স্মার্টনেস দেখাতে যেও না ।
(ক) সামনের জনের সঙ্গে eye contact করে কথা বলো । এতে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
(খ) আঞ্চলিক উচ্চারণ ত্যাগ করো , কারণ এতে সবার কাছে গ্রহণ যোগ্যতা বাড়বে।
(গ) সহজ ও সুন্দর শব্দ চয়ন করো । এতে সামনের মানুষের মনোযোগ আকৃষ্ট হবে ।
(ঘ) কথা বলার সময় হাসিখুশি ভাব বজায় রাখো।
(ঙ) ঘনিষ্ঠ কাউকে ছাড়া নিজের সমস্যার কথা অপরকে বলতে যেও না ।
(চ) কথায় রসবোধ থাকে যেন , সেই সঙ্গে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রেখো । কারণ নিজের ভাষাকে শ্রদ্ধা না করতে পারলে , অপরের ভাষা বা সংষ্কৃতিকেও শ্রদ্ধা করতে পারবে না ।
এইভাবে এই কয়েকটি করণীয় বিষয় যদি অভ্যাস করতে পারো — তবে তুমিই হয়ে উঠতে পারো সুন্দর ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারি। ভালো থেকো বন্ধুরা । আরো কিছু জানতে হলে কমেন্ট বক্স এ লিখে ফেলো চট করে ।
সূত্র: অনলাইন থেকে নেওয়া....
তুমি যে রকম রূপচর্চা করে সুন্দর হতে সচেষ্ট, ঠিক একই ভাবে যদি নিজের ব্যক্তিত্বকে ঘষা মাজা করো তাহলে নিজেদের ব্যক্তিত্বকে উজ্বল করতে পারো । মানুষ কখনো তার নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না অথবা বাবা-মায়ের যে ব্যক্তিত্ব — তা থেকে সরাসরি ব্যক্তিত্বের অধিকারি হয় না , — ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে হয় । তাহলে একথা পরিস্কার যে ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলা কিংবা আপডেট করা সম্ভব।এসব জেনে নিই সুন্দর ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার ১০ টি কার্যকরী উপায় :-
(১) মানুষকে কথা দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করো :-
কাউকে কথা বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটা রাখার চেষ্টা করো । তুমি একজনকে
কথা দিলে বা ভরসা দিলে যে , তোমায় কাজটা আমি করে দেব বা তোমার কাজে
সাহায্য করবো কিন্তু তুমি যদি তার কথা না রাখতে পারো , তাহলে তোমার প্রতি
যে সেই লোকটার বিশ্বাস ছিলো সেটা হারিয়ে যাবে । আর যদি তুমি তোমার কথাকে
রাখতে পারো এবং তাকে সাহায্য করো তাহলে দেখবে যে তুমি তার চোখে আরো বেশি
বিশ্বাসী একজন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে গেছো । ব্যাস এতটুকু ; অনেক বড়
কিছু না এটুকু করতে পারলেই তুমি সবার থেকে আলাদা হবে ।
(২) সময়ের মূল্য দিতে শেখো :-
সময়ের মূল্য দিতে শেখো । সময় , বহতা নদীর স্রোত আর যৌবন কখনো ফিরে আসে
না ‘একবার গ্যয়া তো গ্যয়া ‘ । কাউকে তুমি সময় দিলে যে কাল সকাল দশটায়
আমার সাথে দেখা করবে অথবা দশটায় একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এ উপস্থিত
থাকবে, কিন্তু সেখানে সময়মত পৌঁছতে পারলে না বা ইচ্ছাকৃত ভাবে পৌঁছালে না ,
তাহলে মানুষ তোমার উপর আস্তে আস্তে ভরসা করা ছেড়ে দেবে । আর তুমি যদি
সময়ের সঠিক মুল্য দিতে পারো তাহলে সবাই তোমাকে সঠিক মূল্য দেবে। তুমি
অবশ্যই সবার চোখে আলাদা হবে ।
(৩) মানুষের কথা শোনো ও পাশে দাঁড়াও , সাহায্য করো :-
সবাই শুধু বলতে চায় , শুনতে কেউ-ই চায় না । তুমি একটু উল্টো হও আগে
সামনের ব্যক্তির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো , বোঝো , তারপর সুযোগ বুঝে সময় মতো
তোমার কিছু বলার থাকলে কিছু বলো , দেখবে তুমি নিজের অজান্তেই কখন তার
প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছো । মানুষ বিপদে পড়লে মানুষের পাশে দাঁড়াও , তাদের যতটা পারো সাহায্য করো , দেখবে সেও উপকৃত হবে আর তোমারো ভালো লাগবে । সেইসঙ্গে তোমার ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘটবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ।
(৪) নিজের রাগ অর্থাৎ ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখো:-
আমরা রাগের মাথায় এমন কতগুলো কাজ করে ফেলি , এবং পরে ভাবি যে , সেগুলো
আমার একান্তই করা উচিত হয়নি , যা আমাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের একদম অনুকূল
নয় । কথায় আছে যে ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না ‘ । জানি মানুষের
জীবনে এমন কতগুলো ঘটনা আসে যেখানে নিজেকে কন্ট্রোল করা মুশকিল , কিন্তু
একেবারে যে অসম্ভব সেটা কিন্তু নয় । যে যত নিজের ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করতে
পারবে সে ততই অগ্রগতির দিকে যাবে ও সুব্যক্তিত্বের অধিকারী হবে ।
(৫) ছোট বড় সবাইকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া :-
ছোটোদের ভালোবাসতে শেখো ও বড়দের শ্রদ্ধা করতে শেখো, কেননা ভালোবাসার
বদলে ভালোবাসা , শ্রদ্ধার বদলে শ্রদ্ধা পাওয়া যায় । তুমি যদি সবাইকে
ভালোবাসো শ্রদ্ধা ভরা দৃষ্টিতে দেখো তাহলে সমাজ তোমাকে শ্রদ্ধা ভরা
দৃষ্টিতেই দেখবে । আর এটা সুন্দর ব্যক্তিত্বের একটা লক্ষণ।
(৬) অলসতা বর্জন করো পরিশ্রমী হও :-
অলসতা মানুষকে পিছনের দিকে টানে , মহাপুরুষ বলেছেন ‘ আরাম হারাম হ্যায় ‘
। জীবনের সফলতা অর্জন করতে হলে তোমাকে অবশ্যই অলসতা কে বর্জন করে পরিশ্রমী
হতে হবে ।(৭) অন্যের প্রশংসা করতে শেখো :-
আমরা সবসময় মানুষের দোষ খুঁজে বেড়াই , সুযোগ পেলেই অভিযোগ আর সমালোচনা করতে ছাড়ি না । কিন্তু মনের রাখবে অভিযোগ বা সমালোচনা করে নিজেকে মহান ও সামনের ব্যক্তির পথপ্রদর্শক মনে হবে , কিন্তু সামনের ব্যক্তি তোমাকে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে তোমার প্রতি এক বিরূপ ধারণা তৈরি করবে । তোমাকে অপছন্দ করতে শুরু করবে । কিন্তু যদি তুমি তার প্রশংসা করো, তার সামনে কখন তুমি তার প্রিয় ব্যক্তি ও তার অভিভাবক হয়ে গেছো তুমি নিজেই টের পাবে না । তাই প্রাণ খুলে অন্যের প্রশংসা করো ।
(৮) সত্যি কথা বলো :-
যদি তুমি একজন আদর্শবান সুব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে চাও তাহলে তোমাকে
অবশ্যই সত্যবাদী হতে হবে । তুমি যদি ভুলে কোনো অন্যায় কাজও করে থাকো
তাহলে তোমাকে মিথ্যের আশ্রয় না নিয়ে সত্যি বলতে হবে । মনে করো তুমি তোমার
বন্ধুর কাছে কিছু লুকোচ্ছ , মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছ কিন্তু সেটা না করে যদি
তুমি তাকে সাহস করে সত্যিটা বলতে পারো তাহলে দেখবে তোমার নিজেকে অনেকটাই
হালকা লাগবে , আর বন্ধুও তোমাকে ক্ষমা করে দেবে । সাথে সাথে তোমার প্রতি
তোমার বন্ধুর বিশ্বাস কমার চেয়ে আরো দ্বিগুন হবে ।
(৯) পোশাকের শালীনতা বজায় রাখো :-
সবার মাঝখানে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে নেই । কেননা সামনে খুব অপটুডেট
পোশাকে নিজেকে সবার নজরে ভালই স্মার্ট মনে হলেও , মনে রাখবে পোশাক তোমার
ব্যক্তিত্বকেই ফুটিয়ে তুলবে । তাই কয়েকটি কথা মনে রেখো :(ক) পোশাক হবে স্থান কাল পাত্র মাথায় রেখে ।
(খ) পোশাক হবে মার্জিত রুচির , যাতে শালীনতা বজায় থাকে ।
(গ) গায়ে মানায় বা ভালো ফিট হয় এমন পোশাক পরো।
(ঘ) পোশাক যেন কখনোই তোমাকে ছাড়িয়ে বড় না হয়ে যায় । কেননা পোশাকের কাজ তোমাকেই ফুটিয়ে তোলা, তা যেন তোমার চেহেরাকে ম্লান না করে দেয় ।
(ঙ) পোশাকে অতিরিক্ত স্মার্টনেস দেখাতে যেও না ।
(১০) সুন্দর কথা বলো :-
কথাই মানুষের ব্যবহারকে প্রকাশ করে । তাই যে কোনো স্থানে অনেক মানুষের
বা ভিড়ের মাঝে তোমার কথা বলার স্টাইল , শব্দ চয়ন , eye contact ইত্যাদির
উপর তোমার ব্যক্তিত্ব নির্ভর করবে । এই ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা
প্রয়োজন । সেগুলি যেমন :(ক) সামনের জনের সঙ্গে eye contact করে কথা বলো । এতে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
(খ) আঞ্চলিক উচ্চারণ ত্যাগ করো , কারণ এতে সবার কাছে গ্রহণ যোগ্যতা বাড়বে।
(গ) সহজ ও সুন্দর শব্দ চয়ন করো । এতে সামনের মানুষের মনোযোগ আকৃষ্ট হবে ।
(ঘ) কথা বলার সময় হাসিখুশি ভাব বজায় রাখো।
(ঙ) ঘনিষ্ঠ কাউকে ছাড়া নিজের সমস্যার কথা অপরকে বলতে যেও না ।
(চ) কথায় রসবোধ থাকে যেন , সেই সঙ্গে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রেখো । কারণ নিজের ভাষাকে শ্রদ্ধা না করতে পারলে , অপরের ভাষা বা সংষ্কৃতিকেও শ্রদ্ধা করতে পারবে না ।
এইভাবে এই কয়েকটি করণীয় বিষয় যদি অভ্যাস করতে পারো — তবে তুমিই হয়ে উঠতে পারো সুন্দর ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারি। ভালো থেকো বন্ধুরা । আরো কিছু জানতে হলে কমেন্ট বক্স এ লিখে ফেলো চট করে ।
সূত্র: অনলাইন থেকে নেওয়া....