Showing posts with label কম্পিউটার. Show all posts
Showing posts with label কম্পিউটার. Show all posts

Monday, November 25, 2019

কম্পিউটার সফটওয়্যার কি?

কম্পিউটার সফটওয়্যার হলো কোনো কাজের কতকগুলো সুশৃঙ্খল নির্দেশ যার ভিত্তিতে হার্ডওয়্যার সক্রিয় হয়ে সংশ্লিষ্ট কাজটি সম্পন্ন করে থাকে। অর্থাৎ কোনো কাজের উপযোগী করে তা সম্পাদনের নির্দেশ দেওয়ার নামই হলো সফটওয়্যার। অন্যভাবে বলা যায়, সফটওয়্যার হলো কতকগুলো প্রোগ্রামের সমষ্টি যা হার্ডওয়্যারকে সচল করে ব্যবহারকারীর সমস্যা সমাধান করে থাকে। এক কথায় হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের দেহ হলে সফটওয়্যারকে কম্পিউটারের প্রাণ বলা যেতে পারে।


কম্পিউটার সফটওয়্যারের উদাহরণ :
১. ওয়ার্ড প্রসেসিং
২. স্প্রেডশীট প্রোগ্রাম
৩. ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
৪. গ্রাফিক্স ও ডেস্কটপ পাবলিশিং
৫. ই-মেইল
৬. ওয়েব ব্রাউজ
৭. ভিস্তা
৮. এমএস পাওয়ার পয়েন্ট
৯. উইন্ডোজ ২০০৩
১০. উইন্ডোজ এক্সপি ইত্যাদি।
 
#সফটওয়্যার #উইন্ডোজ_এক্সপি  #গ্রাফিক্স

Computer কি? কম্পিউটারের কাজ, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা এবং ব্যবহার।


%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2589%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0
  Computer শব্দটির সাধারণ অর্থ হচ্ছে গণক যন্ত্র। ল্যাটিন শব্দ Compute থেকে ইংরেজী Computer শব্দের উৎপত্তি। Compute শব্দটির অর্থ গণনা বা হিসাব নিকাশ করা। কম্পিউটারের সাহায্যে মূলতঃ যােগ, বিয়ােগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি কার্যাবলী সম্পাদন করা যায়। কিন্তু বর্তমান যুগে কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের সংঙ্গা অনেক ব্যাপকতা লাভ করেছে। কোন সীমিত সংঙ্গা দিয়ে আর কম্পিউটারকে গন্ডীবদ্ধ করা যায় না। কম্পিউটার সেকেন্ডের মধ্যে কোটি কোটি হিসাব-নিকাশ করতে পারে। কম্পিউটারে কাজের গতি হিসাব করা হয় ন্যানোসেকেন্ডে। ন্যনোসেকেন্ড হচ্ছে এক সেকেন্ডের একশত কোটি ভাগের একভাগ সময় মাত্র। কম্পিউটারের ভিতরে অনেক বর্তনী থাকে। ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালিত হয়। ইলেকট্রনিক সংকেতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ বা কম্পিউটারের ভাষা। কম্পিউটারের বোধগম্য এ ভাষার মাধ্যমে কম্পিউটারে যে নির্দেশ দেয়া হয় তারই ভিত্তিতে কম্পিউটার ফলাফল প্রদান করে। কম্পিউটারের এ নির্দেশাবলিকে বলা হয় প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ছাড়া কম্পিউটার একটি জড় পদার্থ ভিন্ন আর কিছু নয়। উপযুক্ত প্রোগ্রামের ফলে কম্পিউটার জড় পদার্থ হতে গাণিতিক শক্তিসম্পন্ন বুদ্ধিমান যন্ত্রে পরিণত হতে পারে।

 কম্পিউটারের কাজ 
কম্পিউটারের চারটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিচে উল্লেখ করা হলাে
১. সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরি প্রােগ্রাম (Programs) কম্পিউটার গ্রহণ করে মেমােরিতে সংরক্ষণ করে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশে কম্পিউটার প্রােগ্রাম নির্বাহ (Execute) করে।
২. কী-বাের্ড, মাউস, জয়স্টিক, ডিস্ক ইত্যাদির মাধ্যমে কমপিউটার ডেটা (Data) গ্রহণ করে।
৩. ডেটা প্রক্রিয়াকরণ (Process ) করে।
৪. মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদির মাধ্যমে কম্পিউটার ফলাফল প্রকাশ করে।

 কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য 
বিভিন্ন যন্ত্রের মতাে কম্পিউটারেরও নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উল্লেখযােগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলাে।
১. দ্রুতগতি (High speed)
২. নির্ভুলতা (Correctness)
৩. সূক্ষ্মতা (Accuracy)
৪. বিশ্বাসযােগ্যতা (Reliability)
৫. ক্লান্তিহীনতা (Dilligence)
৬. স্মৃতিশক্তি (Memory)
৭. স্বয়ংক্রিয়তা (Automation)
৮. যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত (Logical Decision)
৯. বমুখিতা (Versatility)
১০. অসীম জীবনীশক্তি (Endless Life)

নিম্নে কম্পিউটারের উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্যগুলাের বিস্তারিত আলােচনা করা হলাে।
১. দ্রুতগতি (High speed)
বৈদ্যুতিক সিগন্যালের মাধ্যমে কাজ করে বিধায় কম্পিউটার খুব দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে। কম্পিউটার এক সেকেন্ডে কয়েক কোটি যােগ করতে পারে। কম্পিউটারে সময়ের একক হলাে ন্যানােসেকেন্ড, পিকোসেকেন্ড ইত্যাদি।

২. নির্ভুলতা (Correctness)
কম্পিউটার একটি মেশিন। মানুষের দেয়া সূত্র ও যুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার ফলাফল প্রদান করে। কম্পিউটার কখনও ভুল করে না। কম্পিউটারের নির্ভুলতা শতকরা ১০০ ভাগ।

৩. সূক্ষ্মতা (Accuracy)
কম্পিউটারের স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি। তাই অনেক ঘর পর্যন্ত নির্ভুলভাবে গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ করতে পারে। এ কারণে কম্পিউটারের সূক্ষ্মতা অনেক বেশি ধরে নেয়া যায়।

৪. বিশ্বাসযােগ্যতা (Reliability)
কম্পিউটার নির্ভুল ও সূক্ষ্মভাবে কাজ করে। কাজ করার জন্য কম্পিউটার মানুষের দেয়া নির্দেশ ব্যবহার করে। কম্পিউটার ভুল করে না কিন্তু মানুষ করে, এটা প্রমাণিত।


৫. ক্লান্তিহীনতা (Dilligence)
কম্পিউটার একটি যন্ত্র। আর এ যন্ত্রের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ক্লান্তিহীনতা। কম্পিউটার রাত দিন ক্লান্তিহীন, বিরক্তিহীন এবং বিশ্রামহীনভাবে কাজ করতে পারে।

৬. স্মৃতিশক্তি (Memory)
কম্পিউটারের নিজস্ব স্মৃতিশক্তি (Memory) আছে। কম্পিউটারের মেমােরিতে নির্দেশ (প্রােগ্রাম), প্রয়ােজনীয় ডেটা এবং প্রক্রিয়াজাত ফলাফল (ইনফরমেশন) সংরক্ষিত করে রাখা যায়।

৭. স্বয়ংক্রিয়তা (Automation)
কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মানুষের পরিবর্তে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া আরাে অনেক ক্ষেত্রে যেমন, কল-কারখানায়, বিস্ফোরক গবেষণায় কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

৮. যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত (Logical Decision)
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবস্থা বিচার করে কী কাজ করতে হবে তার আগাম নির্দেশ দিয়ে রাখলে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিভিন্ন কাজ কম্পিউটার নিজে নিজে করতে পারে।

৯. ব্যবহারের বহুমুখিতা (Versatility)
বহুমুখী কাজে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা যায়। কম্পিউটার একটি প্রােগ্রামনির্ভর যন্ত্র। যখন যে প্রোগ্রাম কম্পিউটারে লােড করা থাকে সে প্রােগ্রাম অনুসরণ করে কম্পিউটার কাজ করতে পারে। একটি কম্পিউটারে যেমন হিসাব-নিকাশের প্রােগ্রাম ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশ করা যায় আবার মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবি দেখা যায় বা গান শােনা যায়।

১০. অসীম জীবনসীমা (Endcess Life)
কম্পিউটার চালানাে হয় প্রােগ্রাম ব্যবহার করে। মানুষের জীবনের যেমন একটি নির্দিষ্ট সময় আছে কিন্তু গােগ্রামের কোন নির্দিষ্ট জীবনসীমা নেই। মানুষের তৈরি প্রোগ্রাম বছরের পর বছর সমান যােগ্যতায় একই মানে কাজ করে যেতে পারে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও প্রােগ্রামের কোন মানের কমতি হয় না।
কম্পিউটার দিয়ে কাজ করার সুবিধা 
কম্পিউটার দিয়ে কাজ করার অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যথা-
১. কম্পিউটার খুব দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে।
২. নির্ভুল ফলাফল পাওয়া যায়।
৩. মেমোরিতে অনেক তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায় এবং দ্রুত কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
৪. স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে থাকে।
৫. যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৬. ডেটা প্রসেসিং এর মাধ্যমে ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে।
৭. একই কম্পিউটার বহু ধরনের কাজ করতে পারে।
৮. কল্পনাহীনভাবে টানা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারে।

 বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার 
১. ওয়ার্ড প্রসেসিং বা লেখালেখির কাজে টাইপরাইটারের বিকল্প হিসেবে অফিস আদালতে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
২. ব্যাংকিং, শেয়ার বাজার ও ইনস্যুরেন্স ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনের হিসেব তৈরি ও সংরক্ষণের কাজে গতানুগতিক পদ্ধতি বাদ দিয়ে আজকাল কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
৩. অফিসের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার কাজে আজকাল কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
৪. শিল্প ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণের কাজেও কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।
৫. যন্ত্রপাতি, মোটরগাড়ি, জাহাজ, অ্যারোপ্লেন, ঘরবাড়ি, ব্রিজ ইত্যাদি ডিজাইন করার ক্ষেত্রে।
৬. বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজে।
৭. একস্থান থেকে অন্যস্থানে সংবাদ প্রেরণের ক্ষেত্রে।
৮. শিক্ষাক্ষেত্রে।
৯. বিনোদনের ক্ষেত্রে যেমন টিভি দেখা, ভিডিও দেখা ও গান বাজানো ইত্যাদি।
১০. মুদ্রণশিল্পে প্রকাশনামুলক যে কোন কাজে।
১১. যোগাযোগ ব্যবস্থার টিকিট বিক্রি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ট্রান্সপোর্টের ডিরেকশন ও নির্ণয়ের কাজে।
১২. আধুনিক সামরিক বাহিনীতে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে।
১৩. আবহাওয়া পূর্বাভাস পর্যবেক্ষণের কাজে।
Tags

কম্পিউটার কি এবং বিভিন্ন অংশ




কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা তথ্য বা ডেটা প্রক্রিয়া,সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধার
করার ক্ষমতা রাখে। কম্পিউটার হল এমন একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা অতি দ্রুত নির্ভুলভাবে বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক ও যৌগিক সমাধান দেয়। 1812 সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ গাণিতিক সমস্যা সমাধানে ডিফারেন্সিয়াল ইঞ্জিন এবং 1833 সালে এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন উদ্ভাবন করে কম্পিউটারের জনক হিসেবে পরিচিত হন। কম্পিউটার বিভিন্ন প্রজন্ম অতিক্রম করে বিশাল আকৃতির কম্পিউটার থেকে ক্ষুদ্র  পামটপ কম্পিউটারে পরিবর্তন ঘটে। আমাদের বর্তমান দিনের কম্পিউটার কে মাইক্রোকম্পিউটার বলে অভিহিত করা হয়। মাইক্রো কম্পিউটার এর চারটি ভাগ ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, নোটবুক ও পাম্প।



কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ (পার্ট অফ কম্পিউটার)


কম্পিউটার সাধারণত তিন ধরনের অংশ দ্বারা গঠিত। ...

1) ইনপুট ইউনিট 2) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট 3) আউটপুট ইউনিট।


ইনপুট এর মাধ্যমে ডেটা বা ডাটা কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হয়, তারপর ওই   ডাটা মূল কার্যকারী
অংশের মাধ্যমে বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট এর মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়ে নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের পর
আউটপুট এর মাধ্যমে দেখা যায়। 
1) ইনপুট ইউনিট : যে অংশগুলির মাধ্যমে ব্যবহারকারী কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে সেই অংশগুলোক
বলে ইনপুট ইউনিট। মাউস, কিবোর্ড, ক্যামেরা ইত্যাদি ইনপুট ডিভাইস উদাহরণ।

3) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ: সমস্ত কম্পিউটার সিস্টেমের হার্ট বা প্রাণ স্বরূপ হল সি পি ইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট। সাধারণত
সিপিইউ i) অ্যারিথমেটিক এবং লজিক্যাল ইউনিট ii) মেমরি ইউনিট iii)  কন্ট্রোল ইউনিট এই তিন ভাগে
বিভক্ত করা হয়।


i) অ্যারিথমেটিক এবং লজিক্যাল ইউনিট : যেকোনো ধরনের পার্টি গণিত সমীকরণ বা বিভিন্ন যৌগিক ক্রিয়া সম্পাদনের জন্য অ্যারিথমেটিক এবং
লজিক্যাল ইউনিট দায়বদ্ধ থাকে।


ii) মেমরি ইউনিট:
মেমরি ইউনিট এ তথ্য ও প্রোগ্রাম ইত্যাদি সঞ্চয় করে রাখা হয়। মেমরি ইউনিট আবার দু'ভাগে বিভক্ত
a) হচ্ছে প্রাইমারি মেমোরি ও b) সেকেন্ডারি মেমোরি
a ) প্রাইমারি মেমোরি : কম্পিউটার চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম গুলো মেমোরিতে যে অংশের মধ্যে সঞ্চিত থাকে তাকে বলা হয় প্রাইমারি মেমোরি। সাধারণত প্রাইমারি মেমোরি রাম (RAM ) এবং রোম (ROM) দুইভাগে বিভক্ত
RAM (Random Access Memory) : বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহৃত তথ্যাদি এবং কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের ব্যবহৃত তথ্য এই মেমোরিতে  সঞ্চিত থাকে। এই মেমোরিতে সঞ্চিত তথ্যাদি পড়া ও লেখা উভয়ই সম্ভব। RAM মেমোরিতে সঞ্চিত তথ্যাদি উদ্বায়ী অর্থাৎ পাওয়ার সুইচ বন্ধ করা মাত্র এই মেমোরি তে সঞ্চিত তথ্য মুছে যায় বা ডিলেট হয়ে যায়, আর সেভ থাকে না।


ROM (Read Only Memory) : কম্পিউটার চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি স্থায়ী প্রোগ্রাম গুলি এই
মেমোরিতে সঞ্চিত থাকে। সাধারণত এই মেমোরিতে কেবল পড়া বা দেখা সম্ভব। এই মেমোরিতে সঞ্চিত তথ্যাদি অনউদ্বায়ী। অর্থাৎ পাওয়ার সুইচ বন্ধ করা বা না করা সঙ্গে এই মেমোরিতে সঞ্চিত তথ্যাদি মুছে
যায় না।

b ) সেকেন্ডারি মেমোরি : এই মেমোরিতে বিপুল পরিমাণে তথ্যাদি সঞ্চিত করে রাখা যায়। এই মেমোরিতে প্রধানত স্থায়ী এবং ইচ্ছা
অনুযায়ী সঞ্চিত তথ্যাদি পরিবর্তন করা সম্ভব সেকেন্ডারি মেমোরি মধ্যে হার্ডডিক্স সিডি ডিভিডি ইত্যাদি
উল্লেখযোগ্য।


মেমোরি সঞ্চয় ক্ষমতা     Bit,
Byte =1024 Bit
Kilobyte (KB) = 1024 Byte
Megabyte(MB) =1024 KB
Gigabyte (GB) =1024 MB
Terabyte(TB) = 1024 GB


iii)  কন্ট্রোল ইউনিট :  এর সাহায্যে বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত হয় এবং বিভিন্ন ইউনিট এর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপিত হয়।


সি পি ইউ বা সিস্টেম ইউনিট এর ভিতর সাধারণত যে অংশগুলি থাকে সেগুলি হল..

1)  Motherboard

i) Processor
ii) Math co-processor
iii) RAM (Random Access Memory)
iv) ROM (read only memory)
v) DIP (dual in-line package) switch (PC/XT only)
vi) Rechargeable battery (PC/AT and PS/2)
vii) Expansion slot or I/O slot
viii) Keyboard connector
ix) PS/2 Mouse connector
x) Parallel port
xi) Serial port
Xii) USB port
Xiii) Power connector

2) Hard disk controller

3) CD ROM driver controller

4)Display adapter
i) Monochrome graphics adapter(MGA)
ii) Colour graphics adapter (CGA)
iii) Enhanced graphics adapter (EGD)
iv)Video graphics adapter (VGA)
v) Super video graphic adapter (SVGA)

5) Power supply unit

6)   Trape driver controller

7)  Multi I/O card

8) Storage  devices ( HDD, CD-Rom/ DVD Drive )

3) আউটপুট ইউনিট: কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পাদনের পর যে 
অংশগুলি সহায়তায় কম্পিউটার সাধারণের বোধগম্য ভাষায় তা দৃশ্যমান করে তাকে বলে নির্গমন অংশ বা 
আউটপুট ডিভাইস।মনিটর বা ভিজুয়াল ডিসপ্লে ইউনিট, প্রিন্টার প্রজেক্টর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য 
আউটপুট ডিভাইস। আবার  মিউজিক শোনার জন্য সাউন্ড কার্ড হলো আরেকটি উল্লেখযোগ্য আউটপুট ডিভাইস।

Sunday, August 12, 2018

কী দেখে গেমিং ল্যাপটপ কিনবেন?



গেমিং ল্যাপটপ কেনার সময় একটি কথা মাথায় রাখতে হবে। তা হলো, এটি সাধারণের ব্যবহারের জন্য তৈরি নয়। যাঁরা গেমভক্ত এবং গেমের উন্নত অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাঁদের জন্য গেমিং ল্যাপটপ। বাংলাদেশের বাজারেও এখন গেমিং ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে।

এইচপি, আসুস, এমএসআই, রেজার, ডেলের মতো ব্র্যান্ডগুলোর গেমিং ল্যাপটপ রয়েছে। গেমিং ল্যাপটপের দাম তুলনামূলক বেশি হয়। তাই অর্থ খরচ করে এ ধরনের ল্যাপটপ কেনার আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে। গেমিং ল্যাপটপ বিষয়ে এইচপি, ডেল, আসুসের কর্মকর্তারা কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন।

হার্ডওয়্যার উপযুক্ত কি না (সিপিইউ‍+জিপিইউ)

অ্যাসাসিনস ক্রিড বা ওয়াচডগসের মতো গেমগুলো খেলতে প্রচুর প্রসেসিং ক্ষমতার প্রয়োজন পড়ে। তাই এমন প্রসেসর দরকার, যাতে স্বচ্ছন্দে তা খোলা যায়। ল্যাপটপে বাধামুক্ত গেমিং অভিজ্ঞতা পেতে ইনটেল কোর আই ৭ কোয়াড কোর প্রসেসর থাকা চাই। তবে যাঁরা খরচ কিছুটা কম করতে চান, তাঁরা ডুয়াল কোর আই ৫ নিতে পারেন। এইচপির ওমেন সিরিজ বা লেনোভোর লিজিয়ন সিরিজে ইনটেল কোর আই ৭ কোয়াড কোর প্রসেসর আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের প্রসেসরযুক্ত গেমিং ল্যাপটপের দাম হয় এক লাখ টাকার ওপরে। সিপিইউর পাশাপাশি গেমিং ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে জিপিইউ সমান গুরুত্বপূর্ণ। জিপিইউ মানে গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট। গেমিং ল্যাপটপে গ্রাফিকস ভালো না হলে গেমের অভিজ্ঞতা ভালো হবে না। এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স থাকতে হবে। হাই এন্ড ল্যাপটপে জিটিএক্স ১০৮০ বা জিটিএক্স ১০৭০ জিপিইউ থাকে। তবে জিটিএক্স ১০৬০ বা ১০৫০ জিপিইউ গেমের চাপ নিতে পারে।

যথাযথ র‍্যাম ও ভির‍্যাম
গেমিং ল্যাপটপের ক্ষেত্রে র‍্যাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেশি র‍্যাম ও ভিডিও র‍্যাম বা ভির‍্যাম আছে—এমন ল্যাপটপ পছন্দ করতে পারেন। র‍্যাম যত বেশি হবে, গেমের অভিজ্ঞতা তত উন্নত হবে। গেমিং ল্যাপটপে কমপক্ষে ৮ জিবি র‍্যাম থাকা চাই। এর কম হলে সে গেমিং ল্যাপটপের দিকে না যাওয়া ভালো।

ডিসপ্লে চাই ঝকঝকে
গেমিং ল্যাপটপে রেজুলেশন কোনোভাবেই যেন ১৯২০ বাই ১০৮০–এর কম না হয়। টপ এন্ডের ল্যাপটপগুলোয় কিউএইচডি (২৫৬০ বাই ১৪৪০) বা ফোরকে (৩৮৪০ বাই ২১৬০) রেজুলেশন থাকে। তবে ডিসপ্লে যত উন্নত হয়, দাম তত বেশি হতে দেখা যায়। যেমন এমএসআই টাইটান গেমিং ল্যাপটপে ফোরেক রেজুলেশন আছে। এর দাম চার লাখ টাকার ওপরে। তবে হার্ডকোর গেমারদের ক্ষেত্রে ১৯২০ বাই ১০৮০ যথেষ্ট। স্ক্রিনের মাপ বড় হলে ভালো। ১৭ দশমিক ৩ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেতে বিশেষ সুবিধা পাবেন গেমার।

প্রচুর স্টোরেজ
গেমিং ল্যাপটপ মানে স্টোরেজে ঘাটতি থাকা চলবে না। গেমিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্টোরেজ ফাঁকা থাকা। এসএসডি ও এইচডিডি দুটোই থাকতে পারে। কমপক্ষে এক টেরাবাইট হার্ডডিস্ক থাকতে হবে। অধিকাংশ গেম খেলার সময় ফাঁকা জায়গার প্রয়োজন হবে।

কি–বোর্ড ও টাচপ্যাড
ল্যাপটপে গেম খেলতে গেলে কিবোর্ড হওয়া চাই গেমের উপযোগী। কি–বোর্ডে স্বচ্ছন্দ না হলে বা টাচপ্যাড ব্যবহারবান্ধব না হলে গেম খেলার মজা থাকে না। অধিকাংশ গেমিং ল্যাপটপ নির্মাতা এখন কি–বোর্ড ও টাচপ্যাডকে গেমারদের উপযোগী করে তৈরি করছে। কাস্টোমাইজ করা ব্যাকলিট কি–যুক্ত ল্যাপটপ পছন্দ করতে পারেন।

সাউন্ড
গেমিং মানেই শব্দের খেলা। ল্যাপটপে যদি গেমের আউটপুট শব্দ ভালো না আসে, তবে গেমের মজা নষ্ট হয়। গেমিং ল্যাপটপ কেনার সময় অডিও যন্ত্রাংশের মান অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। স্পিকার পাশে না সামনে অবস্থিত সেটি খেয়াল করতে হবে। সামনের দিকে থাকা স্পিকার সুবিধাজনক।

গঠন: গেমের উপযোগী ল্যাপটপ যেন মজবুত হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

কুলিং সিস্টেম: ল্যাপটপে বাতাস বের হওয়ার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে কি না এবং কুলিং সিস্টেম উন্নত কি না, তা অবশ্যই দেখে নিতে হবে।

গেমিং ল্যাপটপের দাম: এইচপির ওমেন সিরিজের এনও ২৩ টিএক্স মডেলের দাম ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এনও ২৫ টিএক্সের দাম ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, সিইও ৩০ টিক্সের দাম ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। সিইও ৩১ টিক্সের দাম ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। আসুসের জিএল ৭০২ ভিএম-বিএ ৩৫৯ মডেলটির দাম ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, জিএল ৫৫৩ ভিডি-এফওয়াই ১৩৯ মডেলটির নাম ৮৮ হাজার টাকা, জিএক্স ৫০১ ভিএল-জিজেড ০৩৭টি মডেলটির দাম ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। ডেলের ৭৫৬৭ মডেলের ল্যাপটপ পাওয়া যাবে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।