তরুণদের স্বপ্ন দেখাতে এবং সফল হওয়ার
কলাকৌশল শেখাতে শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক আয়োজন
‘আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখো।’ সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামাল নিয়মিত
লিখছেন। স্বপ্ন দেখাবেন তরুণদের। স্বপ্ন আর আশাজাগানিয়া লেখা পড়ুন কালের
কণ্ঠ অনলাইনে।
কথায় বলে, যেমন কর্ম তেমন ফল। আবার বলা হয়, জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো। কর্ম ভালো না হলে রাজপরিবারে জন্ম নিয়েও কোনো লাভ নেই। আবার অতি সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়েও কর্মের গুণে মানুষ উঁচু স্থান দখল করতে পারে।
আসলে কোনো কাজকেই ছোট করে দেখা উচিত না। একটা ছোট কাজ থেকেও বড় কিছু অর্জন করা যেতে পারে। কিন্তু কাজটাকে ভালোবাসতে হবে। সম্পূর্ণ আন্তরিকতা ও দরদ দিয়ে কাজটা করতে হবে। ফাঁকিবাজি করলে কিংবা তুচ্ছাতাচ্ছিল্য করে কাজ করলে তাতে সফলতা আসে না।
লেখাপড়া করতে গেলে যেমন প্রথমে 'অ আ ক খ' কিংবা 'এ বি সি ডি' পড়তে হয়। স্কুলে প্লে গ্রুপ কিংবা ওয়ানে ভর্তি হতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে ওপরের ক্লাসে উঠতে হয়। লেখাপড়ায় মনোযোগ না থাকলে, আন্তরিক না হলে যেমন ক্লাসে ভালো করা যায় না, পড়ায় ফাঁকি দিলে অনেক সময় ওপরের ক্লাসেও ওঠা যায় না।
লেখাপড়া শেষ করতে দীর্ঘ সময় চলে যায়। সেই সময়ে চড়াই উৎরাই থাকে। থাকে টানাপড়েন। কখনো হোঁচট খেতে হয়। কখনো পা মচকায় আবার ভেঙেও হয়তো যায়। তারপরও কিন্তু এগিয়ে যেতে হয়। কেউ যদি কোনো ক্লাসে একবার অকৃতকার্য হয় তখন যদি সে লেখাপড়া থামিয়ে দেয় তাহলে কি এগোতে পারবে? পারবে না। তার মানে তাকে আবার পুর্নোদ্যমে শুরু করতে হয়।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য। চাকরি কিংবা ব্যবসা করতে গেলে গোড়া থেকে শুরু করতে হয়। শুরুতেই কেউ সচিব, অতিরিক্ত সচিব হয়ে যায় না। চাকরি জীবনেও নানা স্তর আছে। প্রতিটি স্তরেই তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে এগোতে হয়। সেখানেও তাঁকে নানা বাধা বিপত্তি ডিঙিয়ে যেতে হয়।
আমাদের দেশের অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীর গল্প শুনেছি। তারা কেউই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি। কর্মজীবনের শুরুতে তাঁরা যখন ব্যবসা শুরু করেছেন তখন তাঁদের হাতে কেমন টাকা পয়সা ছিল না। তারা প্রায় শূন্য থেকে শুরু করেছেন। ধীরে ধীরে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে তারা ওপরের দিকে উঠে আসেন। যিনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি হয়তো একটি স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতেই গড়েন। সেই প্রতিষ্ঠান হয়তো বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা মানুষটি বেঁচে থাকেন।
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদকে আমি স্বপ্নবাজ মানুষ মনে করি। বড় স্বপ্ন না থাকলে তিনি এত বড় প্রতিষ্ঠান গড়তে পারতেন না। তিনি শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই। সেই পথচলা ছিল খুবই ছোট্ট পরিসরে। ধীরে ধীরে স্বপ্ন বুনতে বুনতে তিনি উঠে গেলেন স্বপ্নের চূড়ায়। ব্র্যাক দাঁড়াল মাথা উঁচু করে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ছড়িয়ে পরল এর কর্মপরিধি।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্র্যাকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সরকারের পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিভাবে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে তা তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। নিবেদিতপ্রাণ এই মানুষটি আর্থ-সামাজিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পেয়েছেন স্যার উপাধি। একদিন তিনি থাকবেন না; থাকবে তাঁর রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফজলে হাসান আবেদ বেঁচে থাকবেন। এভাবেই মানুষ তাঁর কর্মের মাঝে বেঁচে থাকেন।
লেখক :মোস্তফা কামাল , ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কালের কণ্ঠ ও সাহিত্যিক
কথায় বলে, যেমন কর্ম তেমন ফল। আবার বলা হয়, জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো। কর্ম ভালো না হলে রাজপরিবারে জন্ম নিয়েও কোনো লাভ নেই। আবার অতি সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়েও কর্মের গুণে মানুষ উঁচু স্থান দখল করতে পারে।
আসলে কোনো কাজকেই ছোট করে দেখা উচিত না। একটা ছোট কাজ থেকেও বড় কিছু অর্জন করা যেতে পারে। কিন্তু কাজটাকে ভালোবাসতে হবে। সম্পূর্ণ আন্তরিকতা ও দরদ দিয়ে কাজটা করতে হবে। ফাঁকিবাজি করলে কিংবা তুচ্ছাতাচ্ছিল্য করে কাজ করলে তাতে সফলতা আসে না।
লেখাপড়া করতে গেলে যেমন প্রথমে 'অ আ ক খ' কিংবা 'এ বি সি ডি' পড়তে হয়। স্কুলে প্লে গ্রুপ কিংবা ওয়ানে ভর্তি হতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে ওপরের ক্লাসে উঠতে হয়। লেখাপড়ায় মনোযোগ না থাকলে, আন্তরিক না হলে যেমন ক্লাসে ভালো করা যায় না, পড়ায় ফাঁকি দিলে অনেক সময় ওপরের ক্লাসেও ওঠা যায় না।
লেখাপড়া শেষ করতে দীর্ঘ সময় চলে যায়। সেই সময়ে চড়াই উৎরাই থাকে। থাকে টানাপড়েন। কখনো হোঁচট খেতে হয়। কখনো পা মচকায় আবার ভেঙেও হয়তো যায়। তারপরও কিন্তু এগিয়ে যেতে হয়। কেউ যদি কোনো ক্লাসে একবার অকৃতকার্য হয় তখন যদি সে লেখাপড়া থামিয়ে দেয় তাহলে কি এগোতে পারবে? পারবে না। তার মানে তাকে আবার পুর্নোদ্যমে শুরু করতে হয়।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য। চাকরি কিংবা ব্যবসা করতে গেলে গোড়া থেকে শুরু করতে হয়। শুরুতেই কেউ সচিব, অতিরিক্ত সচিব হয়ে যায় না। চাকরি জীবনেও নানা স্তর আছে। প্রতিটি স্তরেই তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে এগোতে হয়। সেখানেও তাঁকে নানা বাধা বিপত্তি ডিঙিয়ে যেতে হয়।
আমাদের দেশের অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীর গল্প শুনেছি। তারা কেউই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি। কর্মজীবনের শুরুতে তাঁরা যখন ব্যবসা শুরু করেছেন তখন তাঁদের হাতে কেমন টাকা পয়সা ছিল না। তারা প্রায় শূন্য থেকে শুরু করেছেন। ধীরে ধীরে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে তারা ওপরের দিকে উঠে আসেন। যিনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি হয়তো একটি স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতেই গড়েন। সেই প্রতিষ্ঠান হয়তো বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা মানুষটি বেঁচে থাকেন।
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদকে আমি স্বপ্নবাজ মানুষ মনে করি। বড় স্বপ্ন না থাকলে তিনি এত বড় প্রতিষ্ঠান গড়তে পারতেন না। তিনি শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই। সেই পথচলা ছিল খুবই ছোট্ট পরিসরে। ধীরে ধীরে স্বপ্ন বুনতে বুনতে তিনি উঠে গেলেন স্বপ্নের চূড়ায়। ব্র্যাক দাঁড়াল মাথা উঁচু করে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ছড়িয়ে পরল এর কর্মপরিধি।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্র্যাকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সরকারের পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিভাবে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে তা তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। নিবেদিতপ্রাণ এই মানুষটি আর্থ-সামাজিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পেয়েছেন স্যার উপাধি। একদিন তিনি থাকবেন না; থাকবে তাঁর রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফজলে হাসান আবেদ বেঁচে থাকবেন। এভাবেই মানুষ তাঁর কর্মের মাঝে বেঁচে থাকেন।
লেখক :মোস্তফা কামাল , ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কালের কণ্ঠ ও সাহিত্যিক
No comments:
Post a Comment