জীবন নিয়ে নানা জনের নানা মত। যার কাছে জীবন যেমন তিনি সেরকমভাবে
ব্যাখ্যা করেন। কবি-সাহিত্যিকরা বলেন, জীবন এক বহতা নদী। নদী যেমন আপন
গতিতে চলে; জীবনকেও নদীর মতোই চলতে দেওয়া উচিত।
কেউ কেউ বলেন, জীবন বড় জটিল অংক। কিছুতেই একে মেলানো যায় না। নানা ঝক্কি-ঝামেলায় জীবনের নাস্তানাবুদ অবস্থা। কারো কারো কাছে জীবন আনন্দময়। যারা বলছেন আনন্দময়, তারা কি অনায়াসে এমন জীবন পেয়েছেন? তাদের কি কিছুই করতে হয়নি! নিশ্চয়ই তারা জীবনকে আনন্দময় করে তুলেছেন।
আসলে জীবনকে আনন্দময় করে তুলতে হয়। সে দায়িত্ব কিন্তু নিজেরই। আপনার জীবন আপনাকেই ঠিক করে নিতে হবে। আপনি জীবনকে আনন্দময় করে তুলবেন, নাকি জটিল করবেন! সেটা আগে ভেবে দেখুন।
আমরা ইচ্ছা করলেই কিন্তু জীবনটাকে সহজ করে তুলতে পারি। নিজে একটু চেষ্টা করলেই অনেক জটিলতা এড়াতে পারি। জীবনে চলার পথে নানা বাধাবিপত্তি আসবে। নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হবে। সেগুলোকে সহজভাবে মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, খুব ছোট কাজ কিংবা কোনো ছোট সমস্যাকেও অনেক জটিল করে তোলেন। সমস্যা যত না বড়, তার চেয়ে টেনশনের মাত্রা অনেক বেশি। এতে কী হয়! জটিলতা আরো বাড়ে। কিন্তু এর উল্টোটা হওয়া উচিত। বড় সমস্যাকে ছোট করে দেখা। বলা উচিত, এটা কোনো সমস্যাই না। তাতে টেনশন থাকবে না। টেনশন না থাকলে কাজটাও অতি সহজ হয়ে যাবে। টেনশন যত বাড়বে কাজটাও তত জটিল হবে।
অনেকে আছেন, সব সমস্যা মাথায় নিয়ে ঘোরেন। এমন একটা ভাব যেন তাকেই সব করতে হবে। কেন সব সমস্যা মাথায় নিতে হবে? তাহলে তো কোনো কাজই হবে না। ছোটখাটো সমস্যাগুলো ছেঁটে ফেলতে হবে। মাথায় নেওয়া যাবে না। বড় কোনো সমস্যা সামনে এলে সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধান করতে হবে। জটিলতা পাকানো সহজ কাজ, সমাধান করা কঠিন। সেটা ভেবে অগ্রসর হলে কোনো সমস্যাই সমস্যা না।
অনেকে আছেন মানসিকভাবেই জটিল। সবকিছুকেই তিনি জটিলভাবে দেখেন। সহজ জিনিসকেও জটিলভাবে চিন্তা করেন। তারা কখনোই জীবনকে সহজভাবে এগিয়ে নিতে পারেন না। জীবনকে সহজভাবে এগিয়ে নিতে না পারলে জীবন সত্যিই জটিল হয়ে ওঠে। এজন্য আগে জটিল মানসিকতাকে সহজ করতে হবে। সহজভাবে চিন্তা করতে হবে।
আমরা যখন একটি গ্লাসে অর্ধেক পানি দেখি তখন কেউ বলেন, অর্ধেক পূর্ণ। আবার কেউ বলেন অর্ধেক খালি। আমরা যদি পজেটিভ মানসিকতার হই তাহলে বলব, অর্ধেক পূর্ণ। আর নেগেটিভ মানসিকতার হলে বলব, অর্ধেক খালি। উভয়েই কিন্তু সঠিক তথ্যই দিচ্ছেন। তবে এখানে মানসিকতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আমরা সবাই যদি ইতিবাচক ভাবনা ভাবি তাহলে নেতিবাচক ভাবনাগুলি এমনিতেই দূর হয়ে যাবে। থাকবে না। জটিলতাও কমে যাবে।
অনেক চাকরিজীবী আছেন, যারা অফিসের সমস্যা বাসায় এবং বাসার কিংবা পারিবারিক সমস্যা অফিসে নিয়ে আসেন। ফলে কোনোটাই তারা ঠিকভাবে করতে পারেন না। অথবা একটি করেন, অন্যটি ফাঁকি দেন। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, কোন কাজটাকে আপনি ফাঁকি দিচ্ছেন?
আপনার কিন্তু দুটো কাজই ঠিকভাবে করার কথা! আপনি তখনই দুটি কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে পারবেন যখন অফিসের কাজ অফিসে এবং বাসার কাজ বাসায় রেখে আসবেন। কারণ, দুটি বোঝা আপনি একসঙ্গে বহন করতে পারবেন না। বিষয়টি মনে রাখলে আপনার সব কূল রক্ষা হবে।
আর জীবনকে আনন্দময় করতে হলে মাথার সব চাপ, সব ধরনের টেনশন ঝেড়ে ফেলতে হবে। আগামী দিনের কাজ নিয়ে আপনি যদি আজই হা-হুতাশ করতে থাকেন তাহলে আপনার জীবন বিষাদময় হতে বাধ্য। কাজেই বর্তমান নিয়ে ভাবুন। জীবনটাকে আনন্দময় করে তুলুন। ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করে মাথা নষ্ট করার কোনো দরকার নেই।
লেখক : মোস্তফা কামাল , সাহিত্যিক ও নির্বাহী সম্পাদক, কালের কণ্ঠ
কেউ কেউ বলেন, জীবন বড় জটিল অংক। কিছুতেই একে মেলানো যায় না। নানা ঝক্কি-ঝামেলায় জীবনের নাস্তানাবুদ অবস্থা। কারো কারো কাছে জীবন আনন্দময়। যারা বলছেন আনন্দময়, তারা কি অনায়াসে এমন জীবন পেয়েছেন? তাদের কি কিছুই করতে হয়নি! নিশ্চয়ই তারা জীবনকে আনন্দময় করে তুলেছেন।
আসলে জীবনকে আনন্দময় করে তুলতে হয়। সে দায়িত্ব কিন্তু নিজেরই। আপনার জীবন আপনাকেই ঠিক করে নিতে হবে। আপনি জীবনকে আনন্দময় করে তুলবেন, নাকি জটিল করবেন! সেটা আগে ভেবে দেখুন।
আমরা ইচ্ছা করলেই কিন্তু জীবনটাকে সহজ করে তুলতে পারি। নিজে একটু চেষ্টা করলেই অনেক জটিলতা এড়াতে পারি। জীবনে চলার পথে নানা বাধাবিপত্তি আসবে। নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হবে। সেগুলোকে সহজভাবে মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, খুব ছোট কাজ কিংবা কোনো ছোট সমস্যাকেও অনেক জটিল করে তোলেন। সমস্যা যত না বড়, তার চেয়ে টেনশনের মাত্রা অনেক বেশি। এতে কী হয়! জটিলতা আরো বাড়ে। কিন্তু এর উল্টোটা হওয়া উচিত। বড় সমস্যাকে ছোট করে দেখা। বলা উচিত, এটা কোনো সমস্যাই না। তাতে টেনশন থাকবে না। টেনশন না থাকলে কাজটাও অতি সহজ হয়ে যাবে। টেনশন যত বাড়বে কাজটাও তত জটিল হবে।
অনেকে আছেন, সব সমস্যা মাথায় নিয়ে ঘোরেন। এমন একটা ভাব যেন তাকেই সব করতে হবে। কেন সব সমস্যা মাথায় নিতে হবে? তাহলে তো কোনো কাজই হবে না। ছোটখাটো সমস্যাগুলো ছেঁটে ফেলতে হবে। মাথায় নেওয়া যাবে না। বড় কোনো সমস্যা সামনে এলে সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধান করতে হবে। জটিলতা পাকানো সহজ কাজ, সমাধান করা কঠিন। সেটা ভেবে অগ্রসর হলে কোনো সমস্যাই সমস্যা না।
অনেকে আছেন মানসিকভাবেই জটিল। সবকিছুকেই তিনি জটিলভাবে দেখেন। সহজ জিনিসকেও জটিলভাবে চিন্তা করেন। তারা কখনোই জীবনকে সহজভাবে এগিয়ে নিতে পারেন না। জীবনকে সহজভাবে এগিয়ে নিতে না পারলে জীবন সত্যিই জটিল হয়ে ওঠে। এজন্য আগে জটিল মানসিকতাকে সহজ করতে হবে। সহজভাবে চিন্তা করতে হবে।
আমরা যখন একটি গ্লাসে অর্ধেক পানি দেখি তখন কেউ বলেন, অর্ধেক পূর্ণ। আবার কেউ বলেন অর্ধেক খালি। আমরা যদি পজেটিভ মানসিকতার হই তাহলে বলব, অর্ধেক পূর্ণ। আর নেগেটিভ মানসিকতার হলে বলব, অর্ধেক খালি। উভয়েই কিন্তু সঠিক তথ্যই দিচ্ছেন। তবে এখানে মানসিকতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আমরা সবাই যদি ইতিবাচক ভাবনা ভাবি তাহলে নেতিবাচক ভাবনাগুলি এমনিতেই দূর হয়ে যাবে। থাকবে না। জটিলতাও কমে যাবে।
অনেক চাকরিজীবী আছেন, যারা অফিসের সমস্যা বাসায় এবং বাসার কিংবা পারিবারিক সমস্যা অফিসে নিয়ে আসেন। ফলে কোনোটাই তারা ঠিকভাবে করতে পারেন না। অথবা একটি করেন, অন্যটি ফাঁকি দেন। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, কোন কাজটাকে আপনি ফাঁকি দিচ্ছেন?
আপনার কিন্তু দুটো কাজই ঠিকভাবে করার কথা! আপনি তখনই দুটি কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে পারবেন যখন অফিসের কাজ অফিসে এবং বাসার কাজ বাসায় রেখে আসবেন। কারণ, দুটি বোঝা আপনি একসঙ্গে বহন করতে পারবেন না। বিষয়টি মনে রাখলে আপনার সব কূল রক্ষা হবে।
আর জীবনকে আনন্দময় করতে হলে মাথার সব চাপ, সব ধরনের টেনশন ঝেড়ে ফেলতে হবে। আগামী দিনের কাজ নিয়ে আপনি যদি আজই হা-হুতাশ করতে থাকেন তাহলে আপনার জীবন বিষাদময় হতে বাধ্য। কাজেই বর্তমান নিয়ে ভাবুন। জীবনটাকে আনন্দময় করে তুলুন। ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করে মাথা নষ্ট করার কোনো দরকার নেই।
লেখক : মোস্তফা কামাল , সাহিত্যিক ও নির্বাহী সম্পাদক, কালের কণ্ঠ
No comments:
Post a Comment