Wednesday, January 22, 2020

যমুনাবতী


 নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
 একটু আগুন দে,
 আরেকটুকাল বেঁচেই থাকি
 বাঁচার আনন্দে!
 নোটন নোটন পায়রাগুলি
 খাঁচাতে বন্দী-
 দুয়েক মুঠো ভাত পেলে তা
 ওড়াতে মন দিই!

 হায় তোকে ভাত দেবো কী করে যে ভাত দেবো হায়
 হায় তোকে ভাত দিই কী দিয়ে যে ভাত দিই হায়

 ‘নিভন্ত এই চুল্লি তবে
 একটু আগুন দে,
 হাড়ের শিরায় শিখার মাতন
 মরার আনন্দে!
 দু’পারে দুই রুই কাতলার
 মারণী ফন্দী-
 বাঁচার আশায় হাত-হাতিয়ার
 মৃত্যুতে মন দিই!

 বর্গী না টর্গী না কংকে কে সামলায়
 ধার চকচকে থাবা দেখছো না হামলায়?
 যাস নে ও হামলায় যাসনে!
 কানা কন্যার মায়ের ধমনীতে আকুল ঢেই তোলে- জ্বলে না,
 মায়ের কান্নায় মেয়ের রক্তের উষ্ঞ হাহাকার মরেনা
 চললো মেয়ে রণে চললো!
 বাজে না ডম্বরু অস্ত্র ঝনঝন করে না জানলো না কেউ তা
 চললো মেয়ে রণে চললো!
 পেশীর দৃঢ় ব্যথ, মুঠোর দৃঢ় কথা, চোখের দৃঢ় জ্বালা সঙ্গে
 চললো মেয়ে রণে চললো!

 নেকড়ে-ওজর মৃত্যু এলো
 মৃত্যুরই গান গা-
 মায়ের চোখে বাপের চোখে
 দু’তিনটে গঙ্গা!

 দূর্বাতে তার রক্ত লেগে
 সহস্র সঙ্গী
 জাগে ধ্বক ধ্বক, যগ্গে ঢালে
 সহস্র মণ ঘি!

 যমনাবতী সরস্বতী কাল যমুনার বিয়ে
 যমুনা তার বাসর রচে বারুদ বুকে দিয়ে
 বিষের টোপর নিয়ে!
 যমুনাবতী সরস্বতী গেছে এ-পথ দিয়ে
 দিয়েছে পথ গিয়ে!

 নিভন্ত এই চুল্লিতে আগুন ফলেছে!!

কবি - শঙ্খ ঘোষ

#যমুনাবতী
 এই কবিতাটি কবে পড়েছিলাম তা মনে নেই; তবে কবিতার কথা গুলো মনের সাথে গেঁথে গিয়েছিল। শোষণের বেড়াজালে আবদ্ধ প্রাণের সেই আকুতি ছুঁয়ে গিয়েছিল অবচেতন মনকেও।


No comments:

Post a Comment