হারানো ছড়ানো পাগল খুঁজচে
ফিরে সে আপন হবে।
আলোর টুকরো দীপ্তি চোখের;
ভাঙ্গা-গান-ভাসা গানের কানকে ;
সেই নাক,যার সুরভি বোধটা
চামেলি বকুলে গেলো কোথায় ;
ফিরে- ফিরে চায় তাই
হায় হায় তার চেতনা-জড়ানো
কত দিনরাত পিছু ডাকে কেঁদে- কেঁদে ।
হারানো ছড়ানো পাগল ।
জানে তার হাড় ধুলোয় উড়বে,
কিছুই দেহের থাকবে না প্রাণকথা ;
আরো আরো বুক সবই খ'সে ঝ'রে
মিশে যায় মেঘে হাওয়ায় জলে ।
নিভে যাবে মন আরো ।
এখনই কোথায় লক্ষ ক্ষণের ছবি ?
হাজার দুপুর, বেগুনি সন্ধ্যা, ভোরে নীল হাওয়া, তামসীর চাঁদ
খেয়ালী খেলায় পাল তুলে গেছে পার ।
ফিরিয়ে তবুও রাখবে, বাঁধবে, ঢাকবে,
সাধবে-ভাবচে পাগল ।
হারানো ছড়ানো পাগল ।
হারানো ছড়ানো পাগল একলা
দাঁড়ালো মাঠের ধারে-
দূরে বুড়ো বট ঝিমন্ত-জাগা,
ঝাঁ-ঝাঁ রোদ-লাগা, সবুজ ছন্দে স্থির ।
একটু হাওয়ার মন্ত্র ।
দেখচে পাগল প্রকাণ্ড চাকা
নীল আঁকা বাঁকা দিগন্তের;
প্রখর যন্ত্রে শুনচে ঝিল্লি বাজনা ।
উঁচু সূর্যের অপারে শূন্য, সোনায় সাজানো;
চেনা গ্রাম ঐ ঘোর অচেনার
বিপুল আবেগ আনলো ।
ঝনঝন ক'রে সৃষ্টিসুদ্ধ ভাঙচে, গড়চে, চলচে-
কোথায় তুমুল শব্দ ?
মাঝখানে তারি হঠাৎ পাগল মুখ দেখে চেনে আয়নায়
আকাশে তাকিয়ে হাসে ।
ভরা সন্ধ্যায় চুপ ক'রে ব'সে থাকে
হারানো ছড়ানো পাগল ।
কবি - অমিয় চক্রবর্তী
No comments:
Post a Comment