মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয়েছিল আমি তখন খুব ছোট
মাত্র আড়াই বছর বয়স, সবে মাত্র হাঁটা শিখেছি।
বাবা-মার হাত ধেের আলতো ছোঁয়ায় হেঁটে চলি,
মুখে জয় বাংলা স্লোগান তুলি।
বড় বোন ভাইয়ের কোলে চড়ে পাড়াময় বেড়াই ঘুরে;
তাঁদের মুখেই দেশের মহান নেতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম শুনেছি
সেই থেকে তাঁর ছবিটি বুকে আঁকা।
জীবনে দু’বার রাস্তার পাশে জনস্রোতের মাঝে থেকে
তাকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।
গাড়িতে হাত নেড়ে নেড়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখে
সকলকে অভিনন্দনের উত্তর দিয়েছিল।
আর একবার দেখেছিলাম তাঁর
বাবার মৃতদেহ দেখার জন্য ছোট ভাই
শেখ নাসেরের বাড়িতে যাবার পথে।
যখন আস্তে আস্তে বুঝতে শিখি
ভাইবোনদের সাথে স্কুলে যাই।
খুলনার রেল কলোনিতে আমি
বড় হতে থাকি ক্রমে ক্রমে।
পনের আগষ্ট উনিশ’শ পঁচাত্তর
প্রতিদিনের মত একইভাবে স্কুলে যেয়ে
শুনি ক্লাস হবে না আজ, সেই মহান নেতাকে
সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবে;
গোটা জাতি স্তব্ধ শোকে।
আমাদের সদর ঘরের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রতিকৃতি ছিল,
লোকে জানালো ওটা নামিয়ে ফেলতে
না হলে অসুবিধা হবে আমাদের।
ছবিটি নামিয়ে ট্রাঙ্কের মাঝে রাখা হলো,
বহুদিন সেটা জামা কাপড়ের নিচে চাপা ছিল।
এরই মাঝে শাসক পরিবর্তন হয়েছে অনেক
নব্বয়ের দশকে আমি পরিপূর্ণ যুবক,
এই বিশাল ব্যক্তিত্বকে নিয়ে অনেক কিছুই জেনেছি,
আমার ভেতরের সেই মহান নেতার ছবি এখনও অক্ষত।
হৃদয়ের মাঝে বিশাল বৃক্ষের মত
ডালপালা ছড়িয়ে বড় হয়।
আমাকে আশ্রয় দেয়, ছায়া দেয়; পথ চলার সাহস যোগায়।
এখন হয়েছে আলাদা ঘর, আলাদা পরিবেশ
গৃহের মাঝে সেই ছবিটি রাখতে
কেউ প্রতিহত করতে পারে না আমায়,
তবুও সেটা গৃহে রাখিনা, রাখার প্রয়োজনও নেই
ছবিটি আমার অন্তরের মাঝে গেঁথে আছে যে।।
কবি- কামরান চৌধুরী
মাত্র আড়াই বছর বয়স, সবে মাত্র হাঁটা শিখেছি।
বাবা-মার হাত ধেের আলতো ছোঁয়ায় হেঁটে চলি,
মুখে জয় বাংলা স্লোগান তুলি।
বড় বোন ভাইয়ের কোলে চড়ে পাড়াময় বেড়াই ঘুরে;
তাঁদের মুখেই দেশের মহান নেতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম শুনেছি
সেই থেকে তাঁর ছবিটি বুকে আঁকা।
জীবনে দু’বার রাস্তার পাশে জনস্রোতের মাঝে থেকে
তাকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।
গাড়িতে হাত নেড়ে নেড়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখে
সকলকে অভিনন্দনের উত্তর দিয়েছিল।
আর একবার দেখেছিলাম তাঁর
বাবার মৃতদেহ দেখার জন্য ছোট ভাই
শেখ নাসেরের বাড়িতে যাবার পথে।
যখন আস্তে আস্তে বুঝতে শিখি
ভাইবোনদের সাথে স্কুলে যাই।
খুলনার রেল কলোনিতে আমি
বড় হতে থাকি ক্রমে ক্রমে।
পনের আগষ্ট উনিশ’শ পঁচাত্তর
প্রতিদিনের মত একইভাবে স্কুলে যেয়ে
শুনি ক্লাস হবে না আজ, সেই মহান নেতাকে
সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবে;
গোটা জাতি স্তব্ধ শোকে।
আমাদের সদর ঘরের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রতিকৃতি ছিল,
লোকে জানালো ওটা নামিয়ে ফেলতে
না হলে অসুবিধা হবে আমাদের।
ছবিটি নামিয়ে ট্রাঙ্কের মাঝে রাখা হলো,
বহুদিন সেটা জামা কাপড়ের নিচে চাপা ছিল।
এরই মাঝে শাসক পরিবর্তন হয়েছে অনেক
নব্বয়ের দশকে আমি পরিপূর্ণ যুবক,
এই বিশাল ব্যক্তিত্বকে নিয়ে অনেক কিছুই জেনেছি,
আমার ভেতরের সেই মহান নেতার ছবি এখনও অক্ষত।
হৃদয়ের মাঝে বিশাল বৃক্ষের মত
ডালপালা ছড়িয়ে বড় হয়।
আমাকে আশ্রয় দেয়, ছায়া দেয়; পথ চলার সাহস যোগায়।
এখন হয়েছে আলাদা ঘর, আলাদা পরিবেশ
গৃহের মাঝে সেই ছবিটি রাখতে
কেউ প্রতিহত করতে পারে না আমায়,
তবুও সেটা গৃহে রাখিনা, রাখার প্রয়োজনও নেই
ছবিটি আমার অন্তরের মাঝে গেঁথে আছে যে।।
কবি- কামরান চৌধুরী
No comments:
Post a Comment