তরুণদের স্বপ্ন দেখাতে এবং সফল হওয়ার
কলাকৌশল শেখাতে শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক আয়োজন
‘আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখো।’ সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামাল নিয়মিত
লিখছেন। স্বপ্ন দেখাবেন তরুণদের। স্বপ্ন আর আশাজাগানিয়া লেখা পড়ুন কালের
কণ্ঠ অনলাইনে।
আমাদের জীবনের লক্ষ্য কি? আমরা কি হতে চাই? কি করতে চাই? তা আগেই; মানে স্কুল জীবন থেকেই স্থির করতে হবে। লক্ষ্য স্থির থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য তাড়না তৈরি হয়। সেই তাড়নাই মানুষকে লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে দেয়। ক্ষণে ক্ষণে লক্ষ্য পরিবর্তন হলে কখনোই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না।
ছাত্রদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা লক্ষ্য স্থির করতে গিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে। ভবিষ্যতে কি হতে চায় তা তারা ঠিক করতে পারে না। অনেকে আছে, যারা সবকিছুই হতে যায়। বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিক্ষক, ডাক্তার কিংবা উদ্ভাবক। সব হতে গিয়ে কোনোটাই হওয়া হয় না।
মানুষের ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে মস্তিস্কের একটা ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। কোনো মানুষ ইতিবাচক চিন্তা করলে তার মস্তিস্ক ইতিবাচক কাজ করে। আর কেউ নেতিবাচক চিন্তার হলে নেতিবাচক কাজ করে। কেউ যদি মনে মনে চিন্তা করে যে, সে বিজ্ঞানী হবে। তাহলে তার মস্তিস্ক তাকে সেইভাবে তৈরি করে। মস্তিস্ককে যে যেভাবে ব্যবহার করে সেভাবেই মস্তিস্ক কাজ করে।
এ প্রসঙ্গে আমি একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমাদের গ্রামে এক হাতুড়ে ডাক্তার ছিলেন। তার নাম আবদুল করিম। তার এক ছেলে তিন মেয়ে। গ্রামে ওষুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। গ্রামের মানুষ তাকে হাতুড়ে ডাক্তার বলেই ডাকতেন। তাকে কেউ ভালো চোখে দেখতেন না।
আবদুল করিমের ছেলে আবু কায়সার ভীষণ মেধাবী ছাত্র। সে নিজের চোখে দেখে আসছে, গ্রামের লোকজন তার বাবাকে কতটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে। সে মনে মনে সংকল্প করেছে, বড় হয়ে সে ডাক্তার হবে। এমন ডাক্তার হবে যাতে তার বাবার দুর্নাম ঘুচে যায়।
আবু কায়সার দিন দিন লেখাপড়ায় ভালো করতে থাকে। এসএসসি, এইচএসসিতে খুব ভালো ফল করে। তারপর সে ভর্তি হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। ডাক্তারি পড়া শেষ করে সে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ পায়। সেখান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসে। সে সোজা চলে যায় নিজের গ্রামে।
আবু কায়সারের হাতের যশ ভালো। তার যে রোগী আসে সেই ভালো হয়ে যায়। অল্প দিনের মধ্যেই আবু কায়সারের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ঘুচে যায় তার বাবার দুর্নাম। আবু কায়সারের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সে মহাখুশি।
স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলছি, সময় থাকতেই লক্ষ্য স্থির করে ফেলো। জীবনে সাফল্য পেতে হলে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। লক্ষ্য স্থির থাকলে সেখানে পৌঁছানো যাবেই। তবে হ্যাঁ, লক্ষ্য স্থির করে বসে থাকলে চলবে না। সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
আমি আমার জীবনেও তার প্রমাণ পেয়েছি। আমি ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম, আমি লেখক-সাংবাদিক হবো। সেই ভাবনা থেকেই লেখালেখির জগতে প্রবেশ করলাম। ধীরে ধীরে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এগোতে থাকলাম। স্কুল জীবন থেকেই সংবাদ পত্রিকা পড়তে পড়তে ভাবতাম, এই পত্রিকাতে আমার ক্যারিয়ার শুরু করব।
কী বিধির বিধান! আমি সংবাদেই আমার ক্যারিয়ার গড়লাম। তারপর টানা ২৭ বছরের লেখালেখি ও সাংবাদিকতার জীবন। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে আমি সফল হয়েছি।
লেখক: মোস্তফা কামাল , সাহিত্যিক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কালের কণ্ঠ।
আমাদের জীবনের লক্ষ্য কি? আমরা কি হতে চাই? কি করতে চাই? তা আগেই; মানে স্কুল জীবন থেকেই স্থির করতে হবে। লক্ষ্য স্থির থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য তাড়না তৈরি হয়। সেই তাড়নাই মানুষকে লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে দেয়। ক্ষণে ক্ষণে লক্ষ্য পরিবর্তন হলে কখনোই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না।
ছাত্রদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা লক্ষ্য স্থির করতে গিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে। ভবিষ্যতে কি হতে চায় তা তারা ঠিক করতে পারে না। অনেকে আছে, যারা সবকিছুই হতে যায়। বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিক্ষক, ডাক্তার কিংবা উদ্ভাবক। সব হতে গিয়ে কোনোটাই হওয়া হয় না।
মানুষের ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে মস্তিস্কের একটা ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। কোনো মানুষ ইতিবাচক চিন্তা করলে তার মস্তিস্ক ইতিবাচক কাজ করে। আর কেউ নেতিবাচক চিন্তার হলে নেতিবাচক কাজ করে। কেউ যদি মনে মনে চিন্তা করে যে, সে বিজ্ঞানী হবে। তাহলে তার মস্তিস্ক তাকে সেইভাবে তৈরি করে। মস্তিস্ককে যে যেভাবে ব্যবহার করে সেভাবেই মস্তিস্ক কাজ করে।
এ প্রসঙ্গে আমি একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমাদের গ্রামে এক হাতুড়ে ডাক্তার ছিলেন। তার নাম আবদুল করিম। তার এক ছেলে তিন মেয়ে। গ্রামে ওষুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। গ্রামের মানুষ তাকে হাতুড়ে ডাক্তার বলেই ডাকতেন। তাকে কেউ ভালো চোখে দেখতেন না।
আবদুল করিমের ছেলে আবু কায়সার ভীষণ মেধাবী ছাত্র। সে নিজের চোখে দেখে আসছে, গ্রামের লোকজন তার বাবাকে কতটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে। সে মনে মনে সংকল্প করেছে, বড় হয়ে সে ডাক্তার হবে। এমন ডাক্তার হবে যাতে তার বাবার দুর্নাম ঘুচে যায়।
আবু কায়সার দিন দিন লেখাপড়ায় ভালো করতে থাকে। এসএসসি, এইচএসসিতে খুব ভালো ফল করে। তারপর সে ভর্তি হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। ডাক্তারি পড়া শেষ করে সে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ পায়। সেখান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসে। সে সোজা চলে যায় নিজের গ্রামে।
আবু কায়সারের হাতের যশ ভালো। তার যে রোগী আসে সেই ভালো হয়ে যায়। অল্প দিনের মধ্যেই আবু কায়সারের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ঘুচে যায় তার বাবার দুর্নাম। আবু কায়সারের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সে মহাখুশি।
স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলছি, সময় থাকতেই লক্ষ্য স্থির করে ফেলো। জীবনে সাফল্য পেতে হলে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। লক্ষ্য স্থির থাকলে সেখানে পৌঁছানো যাবেই। তবে হ্যাঁ, লক্ষ্য স্থির করে বসে থাকলে চলবে না। সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
আমি আমার জীবনেও তার প্রমাণ পেয়েছি। আমি ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম, আমি লেখক-সাংবাদিক হবো। সেই ভাবনা থেকেই লেখালেখির জগতে প্রবেশ করলাম। ধীরে ধীরে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এগোতে থাকলাম। স্কুল জীবন থেকেই সংবাদ পত্রিকা পড়তে পড়তে ভাবতাম, এই পত্রিকাতে আমার ক্যারিয়ার শুরু করব।
কী বিধির বিধান! আমি সংবাদেই আমার ক্যারিয়ার গড়লাম। তারপর টানা ২৭ বছরের লেখালেখি ও সাংবাদিকতার জীবন। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে আমি সফল হয়েছি।
লেখক: মোস্তফা কামাল , সাহিত্যিক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কালের কণ্ঠ।
No comments:
Post a Comment