করোনা নিয়েই হয় তো এক সময় চারিদিকে খুলবে সব
যে যাই বলোক আর যাই হোক না কেনো,
স্কুল খুলবে,কলেজ খুলবে,খুলবে বিশ্ববিদ্যালয়,
খুলবে সব আজ বা কাল না হয় অন্য কোন দিন।
কিন্তু সবাই মুখোশে মুখ ঢেকে
সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে,
কেমন করে চলাবে পঠন-পাঠন,
তা একেবারেই স্পষ্ট কেউ নয়।
এটা করা যেতে পারে আবার হতেও পারে,
আপাতত ক্লাসের ছাত্রসংখ্যা কমিয়ে দিয়ে,
সিলেবাসের বোঝা একটু কমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলবে,
হয় তো বা পৃথিবীর নানা দেশে দেশে।
এতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং কতটা বজায় থাকবে,
সে নিয়ে সন্দেহ অনেকেরই মনে আছে।
একটা নতুন কার্টুন দেখছিলাম,
লকডাউনের পরে বাচ্চাদের স্কুল খুলেছে,
বাচ্চারা সব মুখোশ পরে ক্লাসে এসেছে,
কিন্তু ক্লাসের মধ্যেই লণ্ডভণ্ড সব ব্যবস্থা।
কারো মাস্ক অন্য কেউ নিয়েছে পরে,
আর যার মাস্ক সে দৌড়াচ্ছে তার পেছনে।
কেউ তো মাস্ক দিয়ে নাক-মুখের বদলে ঢেকেছে চোখ,
কারো আবার অভিযোগ, যে অন্য কেউ তার মুখোশ ‘সস্তা’ বলেছে।
এটা নিছকই সোশ্যাল মিডিয়ার কৌতূক বলে উড়িয়ে দেওয়া সহজ নয় কিন্তু।
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় দুলতে থাকবে অদূর ভবিষ্যতের দুনিয়া।
কিন্তু এ ছাড়া উপায়ই বা কি আছে?
আমেরিকার মতো দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ...
ধরেই নিয়েছে যে প্রথাগত ক্লাসরুমের,
পড়াশুনা চালানো সম্ভব নয় ২০২০ সালে।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভাবতে শুরু করেছে,
২০২১ সালটাও হয়তো এমনই যাবে।
সম্বল তাই সবার স্মর্টফোট, ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট।
করোনা লকডানউ থেকে পড়ানোর স্টাইলটাও
যে ক্রমেই বদলে বদলে যাবে,
প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্রুত গ্রাস করবে,
সে বিষয়ে সন্দেহ কিন্তু কম নয়।
চাই তবো শুভ মুক্তি হোক করোনা থেকে সুন্দর এই পৃথিবীর।
No comments:
Post a Comment