Sunday, November 24, 2019

শামসুর রাহমান এর একটি অসাধারণ সাক্ষাতকার


কবি শামসুর রাহমান
কবি শামসুর রাহমান

সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় সাম্প্রতিক লিটলম্যাগগুলোর কার্যক্রম এবং প্রভাব সম্পর্কে বলুন।

শামসুর রাহমান: আমিতো আর সবগুলো দেখিও না, পাইও না। তবে লিটলম্যাগ যেগুলোকে বলি- লিটল ম্যাগাজিন, ছোটকাগজ যেটা ওটার একটা ভূমিকা আছে এবং অনেক সময় ঐসব লেখাকে কেন্দ্র করে লেখকরা গড়ে ওঠেন এবং কেউ কেউ বড় মাপের লেখক হয়ে ওঠেন। সুতরাং লিটলম্যাগের ভূমিকা অস্বীকার করার মতো ইয়ে কারো থাকা উচিত নয়, আমি তো করি না।

সাম্প্রতিক লিটলম্যাগগুলো সম্পর্কে…

শামসুর রাহমান: আমি মাঝে মাঝে যেগুলো দেখি, সব তো দেখি না- সবই যে আর ভালো তা না, কিছু তো বেশ ভালো। এগুলো তো আস্তে আস্তে উঠে, এক সময় বিখ্যাত ম্যাগ হয়ে উঠে এবং সেগুলো অবহেলা করা তো অন্যায়। আমি তাই মনে করি। আর যেগুলো খুবই রাবিশ সেগুলো তো কেউ বিচারে আনবে না। তবে বেশ কিছু ম্যাগ তো আসছে এবং আসবেই।

সাহিত্যে দশক বিভাজন দশকীয় সাহিত্যিকদের জন্য কতোটা উপকারী?

শামসুর রাহমান: এটা একটা রেওয়াজ হয়ে গেছে। এটা হতে পারে, কেননা এটা যেমন মানুষের বয়স নিয়ে করে। এটা তো একটা সুবিধার জন্য করে যে, মানুষটা এ বয়সের। বুড়োদের তোমাদের মতো বলবে না, তেমনি তোমরাও আমাদের বয়সী নও, তাই না? সুতরাং এটা থাকবেই। তবে এটা নিয়ে খুব হইচই করার কিছু নেই। এটা হবেই।

শাহবাগ, বাংলাবাজার, মগবাজার নিয়ে যে দলাদলি হচ্ছে তা ভবিষ্যত সাহিত্য পরিমণ্ডলের জন্য কতটুকু শুভ?

শামসুর রাহমান: দলাদলি হতেই পারে। কারণ একজন যা বলে আর একজন তা মানতে চায় না। আবার তারা যা মানেন আর একজন তা মানতে চায় না। দলাদলি হবেই তবে দলাদলি যেনো একেবারে শত্রুতা না হয়ে ওঠে এদিকে খেয়াল রাখা দরকার। আমি তো মনে করি আমার বয়স থেকে ছোট তোমরা যারা আছো তারা আমার সমকক্ষই। আমার সমকক্ষ মনে করি কারণ আমরা একই পথে চলেছি। কেউ বয়সের কারণে হোক, যেকোনো কারণে হোক এগিয়ে গেছে, কেউ একটু পিছিয়ে আছে। কিন্তু পথতো একটাই। যাদের পথটা একেবারে আলাদা, বর্তমানে এমনি যে খুব ক্ষতিকর সেটা হয়তো আমি গ্রাহ্য করবো না। কিন্তু তার শত্রুতাও আমি করবো না। ঠিক আছে সে তার মতে, আমি তার মতে নই- আমি অন্য মতের লোক। কিন্তু তাকে তাই বলে মারতে হবে, খুন করতে হবে, তাকে একেবারে মাথা ফাটিয়ে দিতে হবে, তার লেখা বন্ধ করতে হবে, তার বই পুড়িয়ে ফেলতে হবে- এটার আমি ঘোর বিরোধী।

তসলিমা নাসরিনের লেখায় নারী স্বাধীনতা কতটুকু প্রতিফলিত হচ্ছে?

শামসুর রাহমান: তসলিমা নাসরিনের লেখা আমার পছন্দ হয়। আমি সব লেখা ওর পড়িনি। তবে বেশ কিছু লেখাই পড়েছি এবং তার লেখার ক্ষমতা আছে। তার লেখা সেন্ট পারসেন্ট পরিমাণ ভুল নয়, এটা হয়তো নয়। তাই বলে তাকে মেরে, ঠেলে দেশ ছাড়া করতে হবে এটার আমি ঘোর বিরোধী। এটা আমি কোনোদিনই মানবো না এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এটারও আমি পক্ষপাতি নই। একটি মেয়ে আমাদের সমাজে একটি সেক্টরে একটু আলাদা ইয়ে নিয়ে বেড়ে ওঠছে, তার পেছনে এতো লাগার কী আছে? পারলে তার লেখা দিয়ে তাকে ইয়ে করো, তাই না? আর যদি না পারো চুপ করে থাকো। কিন্তু তাই বলে তাকে মেরে তেড়ে দেশ ত্যাগ করাতে হবে আমি অন্তত এর পক্ষপাতি নই।

তার লেখায় নারী স্বাধীনতা কতটুকু এসেছে?

শামসুর রাহমান: বেশ কিছুটা এসেছে। তবে আমি তো সবটুকু পড়িনি, জানি না কতটুকু কি আছে। তবে আমি ওর পক্ষে। আমি তার বিরোধী নই।

মানে তসলিমা নাসরিন ছেলে-মেয়ের অবাধ মেলামেশার কথা যা বলেছেন সে ব্যাপারে অর্থাৎ সেরকম স্বাধীনতা পাওয়া উচিত?

শামসুর রাহমান: পাওয়া তো উচিত। কারণ যদি ছেলেরা মেয়েদের সাথে মিশতে পারে তাহলে মেয়েরা পারবে না কেনো? তবে সেটা অশ্লীলতা যেনো না হয়, সেটা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে মেশামেশি করবে না কেন? আমি যদি আমার বোনের সঙ্গে মেশামেশি করতে পারি, অন্য একটি নারী লেখকের সাথে মিশতে পারবো না কেন? একটি নারীর সঙ্গে- সে লেখিকা হোক আর নারী হোক; এমনিতে ভালোবাসা হতে পারে, সেটা গ্রাহ্য। কিন্তু মিশলেই আমি তার সঙ্গে প্রেমে পড়ছি না। সুতরাং এটাতো আমি খারাপ দেখি না।

একজন কবি হিসেবে আপনার অবস্থান ব্যাখ্যা করুন।

শামসুর রাহমান: আমার অবস্থান আমি একজন কবি। যদিও মাঝে মাঝে মনে প্রশ্ন জাগে- আমি কি সত্যিই কবি হয়ে উঠতে পেরেছি? হয়তো আমাকে নিয়ে অনেক কিছুই হয়েছে [এরকম লেখালেখি হচ্ছে] কিন্তু আমার মনে প্রশ্ন জাগে- আমি কি সত্যিই কোনো অবদান রাখতে পেরেছি? তবে আমি অতোটা চিন্তা করি না। আমি লিখে যাচ্ছি। আমার লেখা টিকে থাকুক কি না থাকুক সেটা ভাবি না। আমি লেখা ছাড়া থাকতে পারি না। না লেখলে আমার খারাপ লাগে। এবং আমি যে লিখতে পারছি না তা আমাকে পীড়া করে। তাছাড়া লেখা কালে বেঁচে থাকবে কি থাকবে না অতো ভাবলে তো লেখা হবে না।

আধুনিক গদ্য কবিতার গতি প্রকৃতি ও আঙ্গিক কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে এবং কোথায় যাবে বলে আপনার ধারণা?

শামসুর রাহমান: এটাতো তোমরা জানোই কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে এবং এটাকে রোধ করা যাবে না। আমরা জানি না এটা ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। তোমরাও হয়তো জানো না। তাই বলতে পারছি না। কিন্তু এগিয়ে তো যাবেই। আজ না হয় কাল, কাল না হয় পরশু, পরশু না হয় দশ বছর পর- সেগুলো যদি সত্যিকার সৃষ্টিশীল লেখা হয়। কিছু কিছু জিনিস সবসময় থাকবে। তবে আর্টটা বদলে যাবে। বদলটাকে কেউ রোধ করতে পারবে না। সেটা ছন্দোবদ্ধ হতে পারে, না-ও হতে পারে; এটা কোনো ব্যাপার না। যেমন একটা পুরুষ একটা নারীকে ভালোবাসছে, একটা নারী একটা পুরুষকে ভালোবাসছে এটাতো পাল্টে যাবে না, এটা থাকবেই। কিন্তু একজন কবি সেটাকে কিভাবে দেখছেন সেটা হয়তো বদলে যাবে। এটা ছন্দে কিংবা গদ্যে হতে পারে।

স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আপনার অবস্থান বর্ণনা করুন।

শামসুর রাহমান: স্বাধীনতা যুদ্ধে আমি কোনো মতে বেঁচে গেছি এবং আজ এখানে বসে আছি তোমাদের সঙ্গে কথা বলছি। তবে স্বাধীনতা বিরোধী আমি ছিলাম না কখনোই। এখনো নই, কখনো থাকবোও না। আমি যুদ্ধ হয়তো করিনি তবে আমি স্বাধীনতার পক্ষে এবং যখন অত্যাচার চলছিলো আমি আমাদের গ্রামে পালিয়ে গিয়ে- আমি যে দুটি কবিতা লিখেছিলাম, ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য স্বাধীনতা’ আর ‘স্বাধীনতা তুমি’ লিখেছিলাম। দুটি কবিতা আমি একদিনে, খুব অল্পসময়ে লিখেছিলাম। জীবনে এতো অল্পসময়ে একটি কবিতাও লিখিনি। আমাদের বাড়ির একেবারে সংলগ্ন হলো একটি মসজিদ। আমার দাদাই করেছিলেন। আমার দাদাকে আমি দেখিনি, আমার মা-ও আমার দাদাকে দেখেনি। যাই হোক, মসজিদের একপাশে আমাদের বাড়ি, অন্যপাশে আমাদের আত্মীয়দের বাড়ি। মসজিদের একবারে লাগোয়া একটি পুকুর। এখনো হঠাৎ হঠাৎ ঐ পুকুরটার কথা, মসজিদটার কথা মনে হয়। ওখানে আমার বাবা নামাজ পড়তেন। যদিও আমি নামাজ পড়তাম না ও পড়ি না, প্রায়ই জোসনা রাতে মসজিদের পাশের পুকুর পাড়ে বসে জোসনা দেখতাম। আমার বাবার কবর আছে ওখানে, আমার ছেলের কবর আছে ওখানে, আমার নানার কবর আছে ওখানে, আমার এক খালার কবর আছে ওখানে। এরকম আরও অনেক স্মৃতি আছে আমার, ওখানে।

আপনি কি চান আপনারও কবর হোক ওখানে?

শামসুর রাহমান: আমি? আমি তো আমার কবর হোক এটাই চাই না।

তাহলে আপনার মরদেহ কী করা হবে?

শামসুর রাহমান: আমি যা চাই তা হবে না।

আপনি কী চান, সেটা কি আমরা জানতে পারি?

শামসুর রাহমান: আমি তো চাই মরদেহ কেটে-টেটে ফেলে দেয়া হোক।

আপনি কি আপনার মরদেহ মেডিক্যাল ছাত্রদের দেয়ার কথা ভাবছেন?

শামসুর রাহমান: হ্যাঁ, ঐরকমই। কিন্তু আমার মনে হয় আমার ফ্যামিলি এটা একবারেই করতে দেবে না। চোখ আমরা সকলেই দিয়ে দিয়েছি। কবর আমার কোথায় হবে সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আদৌ হবে কিনা তাও জানি না।

আচ্ছা যাহোক। আমরা মূল প্রসঙ্গ ছেড়ে চলে এসেছি। আপনি বলছিলেন আপনার শ্রেষ্ঠ দুটি কবিতা লেখার কথা, মসজিদ, পুকুর ও জোসনা দেখার কথা-

শামসুর রাহমান: হ্যাঁ, ঐ পুকুরের চতুর্দিকে গাছ ছিলো। হালকা গাছ, নান ধরণের ফলের গাছ, ঐ গাছের তলায় বসে আমি এম্নি ভাবছিলাম যুদ্ধ নিয়ে। কি হবে না হবে ইত্যাদি আর কি! এমন সময় কিছু ছেলে মেয়ে ঐ পুকুরে গোছল করছিলো এবং সাঁতার কাটছিলো। তখন হঠাৎ আমার মাথায় কবিতার থিম ঢুকে গেলো। আমি তাড়াতাড়ি বাড়ির ভেতরে চলে এলাম। সঙ্গে একটা কলমও ছিলো না, খাতাও ছিলো না। আমার চাচাতো ভাই ছিলো- ফোর ফাইভে পড়তো, তার কাছ থেকে চেয়ে একটা খাতা ও পেন্সিল নিলাম। নিয়ে বসে, বিশ্বাস করবে কি না জানি না, হাফ এন আওয়ারের মধ্যে আমি জীবনে যা করিনি এবং হয়নি আর কি; ঐ দুটো কবিতা লিখে ফেললাম। তারপর লিখতে পারিনি। লিখিও নি। ওখানে মাস আড়াই ছিলাম। তারপর চলে আসি ঢাকায়। ঢাকায়ও তো তখন আতংক। ঢাকায় এসে আমি লিখতে শুরু করি। ‘বন্দি শিবির থেকে’ যে বইটি, সে বইয়ের কবিতাগুলো সব হলো। আমার বাসায় দুজন মুক্তিযোদ্ধা এলেন। আমি ওদের হাতে কবিতা দুটি দিয়েছিলাম। ভূইঞা ইকবাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সে-ও সেসময় এসে আমার কবিতা নিয়ে গিয়েছিলো। তিনি পরে, মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে কয়েকটি কবিতা ছাপান মজলুম আদিম নাম দিয়ে দেশ পত্রিকায়; দুটো কিংবা তিনটি কবিতা। পরে অবশ্য ছাপা হয়েছিলো আমার নামে। নামটি দিয়েছিলেন আবু সায়ীদ আইয়ূব। আবু সায়ীদ আইয়ূবের নাম তো তোমরা জানোই, না? প্রথমে বন্দি শিবির থেকে ওখানের এক বিখ্যাত প্রকাশক বের করে। তারপর অন্য বইও বের করে আমার।

বাস্তব জীবনে যে যৌনতা সেটা সাহিত্যে আসলে যারা বিরূপ দৃষ্টিতে দেখেন তাদের সম্বন্ধে মন্তব্য করুন।

শামসুর রাহমান: তাদের সম্পর্কে আমি কি মন্তব্য করবো [হাসি]? তারা যদি একটা বাস্তব জিনিসকে অস্বীকার করেন সেটা তাদের ব্যাপার এবং তারা ঠিক পূর্ণ মানুষ নন। যৌন আবেদন তো সবারই আছে, যদি না সে একবারে যৌনহীন হয়ে যায়।

অনেকে এটাকে অশ্লীল মনে করেন…

শামসুর রাহমান: অশ্লীল মানুষের শরীরের কোনো জিনিসই না। ওটা কীভাবে ব্যবহৃত হবে সেটা হলো অশ্লীল। যদি একটা মানুষের সাথে আর একটা মানুষের সঙ্গম খুব সুন্দরভাবে প্রকাশিত হয় তবে অশ্লীল হবে কেন? এবং একটি ভালো জিনিসকে খারাপভাবে প্রকাশ করলে সেটিও অশ্লীল হয়ে যায়।

মানে বলতে চাচ্ছেন ব্যবহারের মাধ্যমটা প্রধান?

শামসুর রাহমান: হ্যাঁ, হ্যাঁ, ভালো বলেছো। ব্যবহারের মাধ্যমটার মধ্যেই প্রকাশ পাবে শ্লীল-অশ্লীল।

সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ হতে বাংলাদেশের লেখকদের মূল্যায়ণ করা হয় কি?

শামসুর রাহমান: সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে তারা লেখকদের তেমন কোনো কেয়ার করেন বলে আমার মনে হয় না। সরকারের মধ্যে কোনো কোনো লোক হয়তো আছে। কিন্তু তারা তেমন একটা সক্রিয় হন না। সুযোগওতো পান না করতে। সেটাও হতে পারে।

সাহিত্যের জন্য ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়া কতটুকু ভূমিকা রাখছে?

শামসুর রাহমান: যে জিনিসটার কথা তুমি বললে এটাতো একটা অগ্রসর মাধ্যম। এটিতে আজকাল সাহিত্য হচ্ছে। যেমন কালকে লন্ডনের একটা বাংলা চ্যানেলের পক্ষ থেকে আমার ইন্টারভিউ নিলো। এটা যদি না থাকতো তাহলে তো হতো না। এ মাধ্যমে একটা দেশের সংস্কৃতি বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটা সভ্যতারই দান।

এই যে ইন্টারভিউ বা রাত দশটা/এগারোটার পর অল্প একটু সাহিত্যালোচনা অনুষ্ঠান এতে কি আমার তুষ্ট?

শামসুর রাহমান: ব্যাপারটা আসলে নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। আরো হয়তো ভবিষ্যতে হবে।

এম্নিতে কিন্তু চ্যানেলগুলোতে অনেক অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু লেখকদের নিয়ে তেমন হচ্ছে না। মানে বলছিলাম, আপনার একটা নতুন বই বের হলো। বইটা নিয়ে, যে এই বইটা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, বইয়ের লেখক পরিচিতি হবে এ ধরণের কিংবা তরুণ লেখকদের বই ও লেখক নিয়ে কি দশ/পনেরো মিনিটের একটা অনুষ্ঠান হতে পারে না?

শামসুর রাহমান: আমাদের নিয়েই তো করে না [উচ্চহাস্য], সুতরাং…

জ্বি, জ্বি এটাই। এটা কি করা উচিত নয়?

শামসুর রাহমান: উচিত তো বটেই। এগুলো খুব এডভান্সড কান্ট্রিতে হয়। আমরা তো এখনো গ্রামে রয়ে গেছি। গ্রামের চেয়েও খারাপ।
শামসুর রাহমান– জন্ম ২৩ অক্টোবর ১৯২৯ সালে। জন্মস্থান মাহুতটুলি, ঢাকা- নানাবাড়িতে। বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমান। বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী ও মা আমেনা বেগম। পিতার বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরায় পাড়াতলী গ্রামে। ১৩ ভাই-বোনের মধ্যে কবি চতুর্থ।
কবি শামসুর রাহমানের একক কাব্যগ্রন্থ ৬৬টি, উপন্যাস ৪টি, প্রবন্ধগ্রন্থ ১টি, ছড়ার বই ৮টি এবং অনুবাদ করেছেন ৬টি বই। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে, নাম প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
কবি শাসসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। কবি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে উইকপিডিয়া পাতায় দেখতে পারেন।
———–
সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করার সময় জানুয়ারি ২০০৫

No comments:

Post a Comment